মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকা এখন জেলে শূন্য। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মার্চ-এপ্রিল দুই মাসের জাটকা সংরক্ষণ অভিযান ১ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে। এরপর এ অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখা গেছে। তবে এর আগে গত দুই দিনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা শিকার করায় আটক হয়েছেন চারজন জেলে।
সোমবার (৩ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদীর চাঁদপুর নৌ থানা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে যে অভয়াশ্রম এলাকা জেলে শূন্য। মেঘনা মোহনায় বেশ কিছু সময় অবস্থান করে এবং ঘুরে কোনো পেতে রাখা জালেরও সন্ধান মিলেনি।
বিজ্ঞাপন
নৌ পুলিশ জানায়, নৌ অঞ্চলের চাঁদপুরের নৌ সীমানায় একটি থানা ও পাঁচটি পুলিশ ফাঁড়ি জাটকা সংরক্ষণে দিন-রাতে চারটি গ্রুপে অভিযান পরিচালনা করছে। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা এবং রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত দু’টি গ্রুপে প্রত্যেক ফাঁড়ির দু’টি করে চারটি দল নিয়মিত টহলে আছে।
হাইমচর উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফুল হক বলেন, তিন দিন ধরে অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো জেলে আটক হয়নি এবং নদী জেলে শূন্য। উপজেলা মৎস্য বিভাগ ছাড়াও নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড অভয়াশ্রম এলাকায় পৃথক টহল অব্যাহত রেখেছে।
চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএমএস ইকবাল বলেন, অভিযানের তৃতীয় দিন চলছে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ছাড় নেই। কোনো জেলে আইন অমান্য করে নদীতে নামলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে আমাদের অভয়াশ্রম এলাকায় কোনো জেলে জাটকা ধরার জন্য নদীতে বিচরণ করছে না।
নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, যে-সব অসাধু জেলে জাটকা নিধন করে তারা মূলত প্রথম কয়েক দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান নির্ণয় করে। এরপর তারা সুযোগ বুঝে জাটকা ধরার জন্য নদীতে নামে। এখন নদীর অভয়াশ্রম এলাকা একেবারে ফাঁকা। তবে জাটকা সংরক্ষণে নৌ পুলিশসহ জেলা টাস্কফোর্স এবার কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এমইউ