ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে রাজনীতি করার জন্য নয়, ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলতে দেশে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো, নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং ফ্যাসিবাদীদের নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই জনসভার আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, মোদির রানী শেখ হাসিনা ভারতীয় মিডিয়ায় ইন্টারভিউ দিয়েছে তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন বাংলাদেশের মানুষের জন্য। হাসিনাকে অবশ্যই দেশে আসতে হবে কিন্তু রাজনীতি করার জন্য নয়, ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলার জন্য। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হাসিনা খুনি ও হায়েনা। জাতিসংঘ সব প্রমাণ পেয়েছে সব খুন হত্যার সঙ্গে জড়িত শেখ হাসিনা।
ভারতের উদ্দেশ্য বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভারত আপনারা প্রতিবেশির সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। আপনি যদি বড় প্রতিবেশি হয়ে মোড়লগিরি করতে চান, তাহলে দেশের মানুষ মেনে নেবে না। আপনারা বাংলাদেশের ভালো প্রতিবেশী। কিন্তু আপনারা প্রমাণ করতে পারছেন না।’
এ সময় স্থানীয় নির্বাচনের আগে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানান ইকবাল হাসান মাহমুদ। তিনি বলেন, স্থানীয় নির্বাচন করা নয়, অন্তর্বর্তী সরকারের একমাত্র দায়িত্ব জাতীয় নির্বাচন করা। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব জনগণকে জাতীয় নির্বাচন উপহার দেওয়া। স্থানীয় নির্বাচন নির্বাচিত সরকার আয়োজন করবে। একটি দল আগে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন বলে চিল্লাচ্ছেন। স্থানীয় নির্বাচন আগে করা মানে আ.লীগকে আবারও মাঠে নিয়ে আসা। স্থানীয় নির্বাচন মানে পাড়ায় পাড়ায় ভাগ-দ্বন্দ্ব। এই ফাঁকে ফ্যাসিস্ট ঢুকে পড়বে।
পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট মাসুদ খন্দকারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) এডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত খালেক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) ওবায়দুর রহমান চন্দনসহ জেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এজে