তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে রংপুর-লালমনিরহাটের হাজার হাজার মানুষ তিস্তা নদীর হাঁটু পানিতে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে।
এ সময় পানি থেকেই ‘তিস্তা নদী আমার মা, মরতে আমরা দিব না’, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে এ প্রতিবাদ জানায় তিস্তা পাড়ের মানুষ। এসময় ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধ করা, মরুকররণ থেকে নদী রক্ষায় তিস্তা পানির ন্যায্য হিস্যা ও বন্যার ভাঙন থেকে তিস্তাপাড়ের মানুষকে রক্ষায় মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।
এর আগে তিস্তা পাড়ে ৪৮ ঘণ্টা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিস্তা রেল সেতু লালমনিরহাট পয়েন্ট থেকে গণপদযাত্রা শুরু হয়। তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলুর নেতৃত্বে পদযাত্রাটি তিস্তা সড়ক সেতু হয়ে তিস্তা রেল সেতু পয়েন্ট গিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন
কর্মসূচির সমাপনী সমাবেশে বিকেল ৫টার দিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন।
বিজ্ঞাপন
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নীলফামারী ও কুড়িগ্রামের ১১টি পয়েন্টে অনুষ্ঠানরত স্মরণকালের এই বৃহৎ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে এ অঞ্চলের সর্বস্তরের লাখো মানুষ। প্রথম দিনের মতো সমাপনী নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে ১১টি পয়েন্টে সমাবেশ, পদযাত্রা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করছে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’। তিস্তা পাড়ে ৪৮ ঘণ্টা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির বিরতিতে চলছে দেশীয় সংগীত, নৃত্য, খেলাধুলা।
এদিকে গতকাল সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে তিস্তা পাড়ে ৪৮ ঘণ্টা লাগাতার অবস্থান, পদযাত্রা জনতার সমাবেশসহ অন্যান্য কর্মসূচি। সোমবার বিকেলে রংপুর ও লালমনিরহাট জেলার তিস্তা রেলওয়ে সেতু-সংলগ্ন পয়েন্টে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং অন্যান্য পয়েন্টে বিএনপিসহ মিত্র দলের নেতারা অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন।
প্রতিনিধি/এসএস