‘পরিকল্পিতভাবে আল্লামা সাঈদীকে হত্যা করা হয়েছে’

আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে ও জিয়ানগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ বিন সাঈদী বলেছেন, ‘পরিকল্পিতভাবে একটি দেশের প্রেসক্রিপশনে আল্লামা সাঈদীকে হত্যা করা হয়েছে। যখন তাকে কারাগার থেকে নিয়ে আসা হয়, আমি তখন হাসপাতালে অবস্থান করছিলাম। ওই সময় আমি অসংখ্যবার তাদের কাছে অনুরোধ করেছি যে আমাকে একটিবারের জন্য বাবার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হোক। কিন্তু, তারা আমার সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি। কারণ আমার সঙ্গে যদি দেখা করতে দেওয়া হতো, তাহলে কারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আল্লামা সাঈদীকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে, সেটা ধরা পড়ে যেত।’

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে মিরসরাই উপজেলার ৯ নম্বর মিরসরাই সদর ইউনিয়নের পূর্ব কিসমত জাফরাবাদ রহমাতুল্লিল আলামীন ইসলামিক একাডেমি ও হেফজখানার উদ্যোগে তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাঠ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার 

মাসুদ বিন সাঈদী আরও বলেন, ‘আল্লামা সাঈদীসহ ইসলামী আন্দোলনের কোনো নেতৃবৃন্দের ন্যূনতম অপরাধ ছিল না। তাদের একটি মাত্র অপরাধ ছিল - তারা শুধুমাত্র আল্লাহর প্রশংসা করেছিল, আল্লাহর সার্বভৌমত্ব কায়েমের রাজনীতি বাংলাদেশে করেছিল। এটাই তাদের অপরাধ। আল্লামা সাঈদীকে যারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে, সেই খুনিদের বিচার আমরা চাই। আমরা বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানাই যে খুনি হাসিনাকে ভারত থেকে ধরে এনে বাংলাদেশে প্রকাশ্যে ওই ট্রাইব্যুনালের সামনে ফাঁসি দিতে হবে। আমরা আল্লামা সাঈদীসহ ইসলামী আন্দোলনের সব আলেম হত্যার বিচার চাই।’

রহমাতুল্লিল আলামীন ইসলামিক একাডেমি ও হেফজখানা মাঠে আয়োজিত তাফসিরুল কুরআন মাহফিল ব্যবসায়ী আনোয়ারুল আজিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাহেরখালী আহমদিয়া হাবিবিয়া গণিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার আব্দুল্ল্যাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় এবং রহমাতুল্লিল আলামীন ইসলামিক একাডেমি ও হেফজখানার পৃষ্ঠপোষক মোহাম্মদ রেজাউল মোস্তফা চৌধুরীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন: রাজশাহীতে চা দোকানি খুন, নেপথ্যে পরকীয়া