চুরির মামলায় জামালপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আমান উল্লাহ আকাশকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় আদালত বর্জন করেছেন আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে জামালপুর সদর জিআর আমলি আদালতের বিচারক মো. মোস্তাফিজুর রহমান আমান উল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে বিকেলে তাকে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের ঘটনায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সামনে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন ছানুর নেতৃত্বে আমান উল্লাহ আকাশসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০-১৬০ জন অবস্থান করেন। আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বেশ কয়েকজনের ওপর হামলা করে তারা। এতে তরিকুল নামের একজন গুরুতর আহত হন। এ সময় একটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তরিকুলের পকেটে থাকা ৩৮ হাজার টাকা ও গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেন।
এ ঘটনায় গত ৩ সেপ্টেম্বর জামালপুর সদর থানায় চুরির মামলা হয়। গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জজ কোর্ট থেকে বাড়ি ফেরার পথে আদালতের পাশে পৌর ঈদগাহ মাঠের সামনে থেকে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমান উল্লাহ আকাশকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে তোলা হয়। তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলে বিচারক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এ ঘটনায় আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা আদালত বর্জন করেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাহফুজুর রহমান মন্টু বলেন, আমরা মিস কেইস করেছি। আশা করছি দ্রুতই আদালত তার জামিনের আদেশ দেবেন। তবে আইনজীবী সমিতি থেকে আদালত বর্জনের কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি।
জামালপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা আদালত বর্জন করেছে। তবে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
টিবি