আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ ও দেশ বিরোধী চক্রান্তের প্রতিবাদে রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে৷
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে জেলার পুঠিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
বিজ্ঞাপন
মিছিলটি পুঠিয়া উপজেলা থেকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অতিক্রম করে পুঠিয়া থানার সামনে এসে শেষ হয়৷ 'জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো', 'দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা,' 'দিল্লি না রাজশাহী রাজশাহী রাজশাহী, পুঠিয়া- পুঠিয়া,' 'আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে কেনো? প্রশাসন জবাব চাই', 'আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও,' 'ছাত্রলীগের আস্তানা ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও,' 'দিয়েছি তো রক্ত আরও দেবো রক্ত,' 'আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ' ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী জেলা শাখার আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম সাজু, যুগ্ম আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান বিজয়, যুগ্ম সদস্য সচিব আসিফ হাসান ও সাফিন আক্তার, ক্রীড়া সংগঠক রিকো মণ্ডল, সংগঠক এস এম মেহেদি হাসান, মুখপাত্র সদস্য মুশফিকুর রহমান মিম, ইমন রাজ ও সুস্মিতা, জেলা প্রতিনিধি ইয়াসিন আরাফাত প্রিন্সসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মৌসুমি রহমান ইউনূস সরকারের পদত্যাগ দাবিতে লিফলেট বিতরণ করেন। সেই ছবি আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে আপলোড হলে পুঠিয়ার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। রাতেই গ্রেফতারের জন্য থানা পুলিশকে ২৪ ঘণ্টার সময় দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী জেলার নেতারা। এ সময়ের ভেতর পুলিশ মৌসুমিকে আটক করতে না পারলেও মঙ্গলবার সকালে মৌসুমি রহমানের স্বামী অহিদুর রহমানকে পঁচামাড়িয়া বাজার থেকে গ্রেফতার করে পুঠিয়া থানা পুলিশ৷
পুঠিয়া থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, মৌসুমি ও তার স্বামী দু’জনে মিলে নাশকতার চেষ্টা করছিল। পরে ওহিদুরকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তার স্ত্রী পালিয়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এজে