মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সাত মাসে কোরআনের হাফেজ, মাদরাসাছাত্রীকে সংবর্ধনা

জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড়
প্রকাশিত: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০২ এএম

শেয়ার করুন:

সাত মাসে কুরআনের হাফেজ, মাদরাসাছাত্রীকে সংবর্ধনা

মাদরাসার হেফজ বিভাগে সাত মাস আগে ভর্তি হয়েছিল ১৩ বছর বয়সী আনিশা আক্তার। এরই মধ্যে গৌরব অর্জন করেছে কোরআনের হাফেজ হওয়ার। তার এই কৃতিত্বে সংবর্ধনা দিয়েছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে তাকে সংবর্ধনা ও আনুষ্ঠানিক বিদায় দেয় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। সুসজ্জিত প্রাইভেটকারে বসিয়ে মোটরসাইকেল বহরের মাধ্যমে রাজকীয় সম্মানে তাকে পৌঁছে দেওয়া হয় বাড়িতে। ফুলেল শুভেচ্ছা জানান স্থানীয় মুসল্লি ও এলাকাবাসী।


বিজ্ঞাপন


আনিশা পঞ্চগড় সদর উপজেলার টুনিরহাট ঘটবর তাথলিমুল কোরআন বালিকা মাদরাসার শিক্ষার্থী। সে চাকলাহাট ইউনিয়নের সর্দারপাড়া গ্রামের আলিউর রহমানের মেয়ে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মাদরাসাটির সভাপতি তোফায়েল প্রধান, মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হাফেজ মো. মনিরুল ইসলাম মোল্লা, সদর উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আবু সাইদ, স্থানীয় ছাত্রশিবির নেতা মুন্না ইসলাম প্রমুখ।

thumbnail_IMG_20250106_141032

মেয়ের কৃতিত্বে আনন্দিত বাবা আলিউর রহমান। বলেন, মেয়েকে কোরআনের হাফেজ বানানোর আশা ছিল। আল্লাহ আমার আশা পূরণ করেছেন। আমি চাই আমার মেয়ে একজন পূর্ণ আলেম হোক। 


বিজ্ঞাপন


মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হাফেজ মো. মনিরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, মাদরাসাটি ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটাই মাদরাসার প্রথম হাফেজ। আমাদের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে সবার দোয়া চাই।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল প্রধান বলেন, মাত্র ৭ মাসে পুরো কোরআন মুখস্ত করা কেবল প্রখর স্মৃতিশক্তি থাকা শিক্ষার্থীর পক্ষেই সম্ভব। এজন্য মাদরাসার কর্তৃপক্ষের অবদান অনস্বীকার্য। আমি মনে করি, খুব অল্প সময়ের মধ্যে মাদরাসাটি এই সাফল্য দেখিয়েছে। মাদরাসার সার্বিক বিষয়ে আমার সু-দৃষ্টি সবসময় থাকবে।

প্রতিনিধি/ইএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর