পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে নারী নির্যাতনের মামলা তুলে না নেওয়ায় বাদী রেশমা বেগম (২৭) ও তার মামা বেল্লাল কাজীকে (৪৫) কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। তাদেরকে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোরালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসামিদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
আহত রেশমা বেগম বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বাড়ির সামনে গেলে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই বগি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে নজরুল প্যাদা, মাহামুদ প্যাদা, নয়ন প্যাদা ও মো. ইউনুস। এসময় আমাকে উদ্ধার করতে মামা বেল্লাল কাজী এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমাকে মারধর করার কারণে দুই মাস আগে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে তাদের নামে মামলা করেছি। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে রাঙ্গাবালী থানার ওসিকে এজাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। থানায় মামলা এজাহার হলেও কোন আসামিকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। কিছুদিন পর থেকেই ওই মামলা তুলে নিতে আমাকে প্রাণনাশসহ ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে আসামিরা। বিষয়টি ওসিকে জানালেও কোন পদক্ষেপ নেননি। পরিকল্পিতভাবে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার সকালে কুপিয়েছে ওই মামলার আসামি ও তাদের ভাড়াটিয়া লোকজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. নজরুল প্যাদা বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। ইউনুসের সাথে তাদের ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। এসময় ইউনুসকে মারধর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমারত হোসেন বলেন, এ বিষয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে দেখব মামলা নেওয়া যায় কিনা।
নারী নির্যাতন মামলা এজাহারের প্রায় দুইমাস হয়েছে এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই মামলা মিথ্যা, এতে আসামি গ্রেফতার করা হয়নি।
প্রতিনিধি/এফএ