বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

মোবারকগঞ্জ চিনিকল

অবৈধ নিয়োগের শ্রমিক নিতে মরিয়া ব্যবস্থাপনা পরিচালক

জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img
ছবি- সংগৃহীত

বিগত সরকারের আমলে ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ চিনিকলে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে অবৈধ নিয়োগকৃত শ্রমিকদের আবারও কাজে লাগানোর অভিযোগ উঠেছে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে এ নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষের মতাবলম্বীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে মোবারকগঞ্জ চিনিকল এলাকায়।


বিজ্ঞাপন


জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২৩-২০২৪ আখ মাড়াই মৌসুমে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে মিলটির বিভিন্ন বিভাগে ১২০ জন শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ও মোবারকগঞ্জ চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রসুল এ সকল শ্রমিকের তালিকা চিনিকল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রদান করে। টাকার বিনিময়ে এসব শ্রমিকদের কাজে লাগায় গোলাম রসুল। ১২০ জন শ্রমিকের অধিকাংশই ছাত্রলীগ যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। রয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের পদধারী নেতারা। ৫ আগস্ট বিগত সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যায় গোলাম রসুলসহ অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত অনেক শ্রমিক। আগামী ১৩ ডিসেম্বর সুগার মিলের ২০২৪-২০২৫ আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন। এজন্য আবারও জনবল সংকট কাটাতে আওয়ামী লীগের সময়ে নিয়োগকৃত ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের পুনরায় কাজে নেওয়ার তৎপরতা চলছে।

সাধারণ শ্রমিকদের সূত্রে জানা গেছে, বিগত সরকারের সময়ে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত দৈনিক হাজিরার শ্রমিকদের ২০২৪-২০২৫ আখ মাড়াই মৌসুমে কাজে লাগাতে সোমবার সকালে ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চাপ দেয় বহিরাগত একটি পক্ষ। কিন্তু চিনিকলে কর্মরত বর্তমান শ্রমিকরা এর বিরোধিতা করেন। এতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় দুই পক্ষের মধ্যে। পরে যৌথবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করছে। যদি পূর্বের ন্যায় তারা আবারও কাজের সুযোগ পায় তাহলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন সাধারণ শ্রমিকরা।

মিলটির শ্রমিক ইলিয়াস রহমান মিঠু বলেন, বিগত সরকারের সময়ে একদমই অবৈধভাবে ১২০ জন শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসকল শ্রমিকদের নূন্যতম সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়নি। সাবেক এমপি আনার ও তার বন্ধু গোলাম রসুল টাকার বিনিময়ে এ সকল শ্রমিকদের নিয়োগ দেয়। আর এ কাজে মিলটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সহায়তা করেছে। বহিরাগত একটি পক্ষ পূর্বের ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের আবারও কাজে লাগাতে উঠে পড়ে লেগেছে।

আরেক শ্রমিক জবেদ আলী বলেন, গত মৌসুমে নিয়োগ পাওয়া ১২০ জনের অধিকাংশই ছাত্রলীগ-যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তাদের আবারও কাজে লাগাতে চায় মিল কর্তৃপক্ষ। পুনরায় এ মৌসুমে তাদের কাজে লাগালে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে।


বিজ্ঞাপন


এ ব্যাপারে সুগার মিলটির ব্যবস্থপনা পরিচালক সাইফুল আলম বলেন, যে অভিযোগ করা হচ্ছে এটা সঠিক না। যে ১২০ জন নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল সেটি দৈনিক হাজিরায়। তাদের পুনরায় নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি।  

এনএ/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর