মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা: এসপি-ওসিসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

জেলা প্রতিনিধি, ফেনী
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৪ পিএম

শেয়ার করুন:

খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা: এসপি-ওসিসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের ২টি বাসে বোমা হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় আদালতে মামলার আবেদন করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত আবুল কাশেম মিলন নামের এক ব্যক্তি।

ঘটনার ৭ বছর পর বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ফেনী সদর আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


মামলার বাদী যমুনা হাই ডিলাক্স পরিবহন চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিলন আদালতে জমা দেওয়া তার আরজিতে এ মামলায় তৎকালীন পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর সরকারসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি করেছেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে ঢাকায় ফেরার পথে বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে মহিপাল এলাকায় পৌঁছলে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এসময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশে বোমা ও ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে যমুনা পরিবহনের একটি বাস ও চৌদ্দগ্রাম ট্রান্সপোর্টের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

আরও পড়ুন

রাজশাহীতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতার ২০

ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মামলার বাদী আবুল কাশেম মিলন ছাড়াও লক্ষ্মীপুর জেলার নেয়ামতপুর এলাকার বাসিন্দা আবদুল মালেক ড্রাইভার, বাঞ্ছানগর এলাকার ফারুক ড্রাইভার, নোয়াখালীর চরজব্বর থানার হাজীপুর এলাকার হেদায়েত উল্যাহ ড্রাইভার ও সুধারাম থানার চর শুল্লকিয়া এলাকার হারুনুর রশিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


বিজ্ঞাপন


মামলায় তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আমিনুল ইসলাম, ফেনী মডেল থানার তৎকালীন ওসি মো. রাশেদ খান চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি করিম উল্যা বি.কম সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, পরশুরাম উপজেলা সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাজেল, ফুলগাজী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার, জেলা যুবলীগ সভাপতি দিদারুল কবির রতন, দাগনভূঞা পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক খানকে আসামি করা হয়।

আরও পড়ুন

ঋণের দায়ে পালিয়ে বেড়ানো প্রতিমন্ত্রীর ভাই এখন শত কোটির মালিক

এছাড়াও ফেনী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আমির হোসেন বাহার, লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী, সিরাজুল ইসলাম, ফাজিলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুল হক রিপন, শর্শদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জানে আলম, পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মানিক, ধলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার আহমেদ মুন্সি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সালাহউদ্দিন ফিরোজ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হায়দার জর্জ, পৌর যুবলীগের যুগ্ম-সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পিটু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক আশরাফুল আলম মোহনকে আসামি করা হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার ফেনী সদর আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েদ মো. শাফায়াতের আদালতে মামলাটি জমা দেওয়া হয়েছে। আগামী রোববার এ বিষয়ে আদালত আদেশ দিতে পারেন।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর