ডাকাতি করার সময় চিনে ফেলায় মা ও ছেলেকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার ঘটনায় ঘটনায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
অপর দিকে একই মামলায় আরও একটি ধারায় আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার সময় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক সোহানী পুষণ এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার জোয়াদ্দার পাড়া এলাকার সেকেন্দার মোল্লার ছেলে আবু হানিফ মোল্লা, সোনাইকান্দি গ্রামের ইমরান হোসেন মণ্ডলের ছেলে আলী আকবর, মৃত শহিদুল ইসলাম মণ্ডলের ছেলে লাল চাঁন মণ্ডল। রায় ঘোষণাার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদেরকে কড়া পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
কুষ্টিয়া জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি খাদিমুল ইসলাম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার এজাহার এবং আদালত সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সোনাইকান্দি গ্রামের আব্দুল মানিকের স্ত্রী ছানোয়ারা বেগম তার আগের পক্ষের ৮ বছরের ছেলে রাজ আহাম্মেদকে সঙ্গে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। গত ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর দিবাগত গভীর রাতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা দরজা ভেঙে ওই বাড়িতে ডাকাতি করতে যায়। এসময় ছানোয়ারা ডাকাতদের চিনে ফেলে এবং চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে ডাকাতদল ছানোয়ারা এবং তার ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায় । পরে সকালে স্থানীয়দের দেওয়া সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ এসে মা ছেলের লাশ উদ্ধার করে। এবং ঘটনার পরের দিন ছানোয়ারার মেয়ে পারভীনা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামিকে করে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিশিকান্ত সরকার ২৭ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ বিজ্ঞ বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।
প্রতিনিধি/এসএস