ঢাকার সাভারে দোকানের সামনে মোটরসাইকেল রাখতে নিষেধ করায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় আহতের ভাই বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১৭ নভেম্বর) রাতে সাভারের উলাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হাজী ইসরাফিল মার্কেটে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মো. সোহেল রানা (২৫) তিনি উলাইল কর্ণপাড়া এলাকায় নুর মোহাম্মদের ছেলে এবং ওই মার্কেটে বিকাশ এবং মোবাইল অ্যাক্সেসরিজের ব্যাবসা করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- বুলবুল (৩৫), রিপন (৩২), সুজন (২৪), বাবু (২৫), বিল্লাল (২৮), কালু (২৬), বাদল (২৪) ও মো. ফিরোজ (৪০)। এদের মধ্যে বুলবুল এবং রিপনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উলাইল এলাকার হাজী ইসরাফিল মার্কেটের সামনে একদল যুবক মোটরসাইকেলযোগে এসে মার্কেটের সামনের অংশ ব্লক করে তাদের মোটরসাইকেল পার্কিং করে রাখে। এসময় মাহমুদুল হাসান সাকিব নামে মার্কেটের এক ব্যবসায়ী তাদেরকে সেখানে মোটরসাইকেল পার্কিং করতে নিষেধ করলে অভিযুক্তরা ওই ব্যবসায়ী গালাগাল এবং মারধর করতে থাকে এসময় তার বন্ধু অপর ব্যবসায়ী সোহেল রানা তাকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে তাকে হকিস্টিক ও স্টিলের পাইপ দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে এতে তার মাথে ফেটে যায়। পরে মার্কেটের অন্যান্য ব্যবসায়ী ও স্থানীরা আহত সোহেল রানাকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ব্যপারে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান সাকিব বলেন, মার্কেটের সামনে রাস্তা ব্লক করে বাইক রাখার কারণে আমাদের কাস্টমার আসা যাওয়ায় ব্যাঘাত ঘটে আর সেজন্য আমি তাদেরকে সেখানে বাইক রাখতে নিষেধ করলে অভিযুক্তরা আমাকে গালাগালি শুরু করে এবং কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এটি দেখে আমার বন্ধু সোহেল রানা আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে বুলবুল, রিপন ও সুজনসহ বাকি আসামিরা সোহেলকে হকিস্টিকসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এরা সবাই স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা ইউসুফের লোকজন বলে জানতে পেরেছি। আমি এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এ ব্যপারে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জুয়েল মিঞা বলেন, আহতের ভাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে আমরা দুজন অভিযুক্তকে আটক করেছি। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাকি অভিযুক্তদেরও আটকের চেষ্টা চলমান।
প্রতিনিধি/এসএস