কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুই বন্ধুর মধ্যে কথা কাটাকাটির সময় বন্ধুর ছুরিকাঘাতে অপর বন্ধু নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শম্ভুপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
নিহতের নাম হারুনুর রশিদ সোহাগ (৩৫)। তিনি শম্ভুপুর বড়কান্দা গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে এবং পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন।
সম্প্রতি তিনি গরুর খামারও দেখাশোনা করছিলেন এবং ইতালি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
জানা যায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে সোহাগ ও তার বন্ধু জসিম শম্ভুপুর রেলক্রসিংয়ের কাছে একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে জসিম একটি ধারাল ছুরি দিয়ে সোহাগের বুকের বা পাশে আঘাত করেন। এতে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সোহাগ। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলেও চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অভিযোগ রয়েছে, ঘটনার সময় জসিম নেশাগ্রস্ত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন জানান, খবর পেয়ে তিনি সঙ্গীয় ফোর্সসহ হাসপাতালে গিয়ে মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল করেছেন।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মেহেদী হাসান বলেন, সোহাগের বুকে গভীর ছুরিকাঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ঘটে, যার কারণে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন
শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. স্বপন মিয়া জানিয়েছেন, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় জসিম কথাকাটাকাটির জেরে সোহাগকে ছুরিকাঘাত করেন।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন মিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কিশোরগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হবে। পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের তদন্তে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা হবে।
প্রতিনিধি/এসএস