পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে কৃষকের পায়ের রগ ও পুরুষাঙ্গ কাটার চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষরা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যার পরে উপজেলার উত্তর কলারোন গ্রামে রফিকুল হাওলাদার নামে ওই কৃষকের পায়ের রগ ও পুরুষাঙ্গ কাটার চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষরা।
বিজ্ঞাপন
এসময় ওই কৃষক আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষরা আরও উত্তেজিত হয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার চেষ্টা করে। এতে সে গুরুতর জখম হয়। তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পুরুষাঙ্গে ৯টি সেলাই দিতে হয়েছে।
কৃষক রফিকুল হাওলাদার ৫ নম্বর চন্ডিপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাহেব আলীর ছেলে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ সোহেল ও খোকা ওই একই এলাকার মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে এবং আরেকজন প্রতিপক্ষ রাজ্জাক মোল্লা ওই একই এলাকার আলম মোল্লার ছেলে।
জানা গেছে, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার দিন সোমবার সন্ধ্যায় রফিকুল হাওলাদার ঢাকায় এক আত্মীয়ের কাছে টাকা পাঠানোর উদ্দেশে স্থানীয় বলেশ্বর বাজারে আসে। বিকাশের দোকানে পৌছাঁনোর পূর্বেই সোহেল তাকে ডাক দেয় এবং তর্ক বিতর্ক শুরু করে। একপর্যায়ে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয় এবং ধারাল ছুরি দিয়ে পায়ের রগ কাটার চেষ্টা করে।
বিজ্ঞাপন
এসময় ওই কৃষক আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে সোহেল ওই ছুরি দিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার চেষ্টা করে। এলোপাতাড়ি মারধর করে বাজারের রাস্তায় ফেলে রাখে। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যরা ওই কৃষককে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। রফিকুল হাওলাদারের দাবি, প্রতিপক্ষরা তার সঙ্গে থাকা ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান, সোহেল হাওলাদারের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মারুফ হোসেন জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/এসএস