আগামী ৩ নভেম্বর মধ্য রাত থেকে সাগরে মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে। তবে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সাহেদ নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ীর চারটি ট্রলার প্রস্তুত করলেও ট্রলারে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে মাছ ধরতে যাওয়া নিয়ে সাহেদসহ জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাতিয়ার মেঘনা ও বঙ্গোপসাগর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দস্যুতা করে আসছে নিজাম মাঝি ও তার লোকজন। জেলেদের ট্রলারে হামলা, মালামাল লুট ও জেলেদের মারধর করে আসছে প্রতিনিয়ত। অভিযোগ আছে ২০১২ সালে নিজামের নেতৃত্বে তার লোকজন দিয়ে সাহেদের ৪টি ট্রলারে হামলা চালিয়ে জেলেদের মারধর করে ট্রলারসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে গত ১২ বছর তিনি আর মাছ ধরতে যেতে পারেননি।
বিজ্ঞাপন
সাহেদ আরও অভিযোগ করে বলেন, নতুন করে ৩টি মাছ ধরার বোট তৈরি করার পর গত ১০ অক্টোবর মাছ শিকারের উদ্দেশে নবীর মাঝির নেতৃত্বে চর গাঙ্গুরিয়া এলাকায় পাঠানো হয়। বেলা ১১টার দিকে নিজাম মাঝির নেতৃত্বে পুনরায় ওই বোটগুলোতে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে জেলেরা বোট নিয়ে পালিয়ে চলে আসে। পরবর্তীতে গত ২৯ অক্টোবর এ ঘটনায় নিজাম মাঝিসহ ১৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন তিনি।
মামলার পর ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৩০ অক্টোবর চেয়ারম্যান ঘাটে নৌঙররত অবস্থায় থাকা সাহেদের বোটগুলোতে আবারও হামলা চালায় নিজাম মাঝির লোকজন। এসময় তারা বোটগুলো ভাঙচুর ও জেলেদের মারধর করে জখম করে। হামলাকারিরা বোট তিনটি থেকে ২০ মণ কট জাল, ৫ মণ দড়ি, নগদ ৯০ হাজার টাকা, লাইটসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নিজাম মাঝি ও তার লোকজন প্রতিনিয়ত তার জেলেদের নদীতে না যাওয়ার জন্য হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এতে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও মাছ ধরার জন্য সাগরে যেতে আতঙ্কিত জেলেরা।
অভিযোগ অস্বীকার করে নিজাম মাঝি বলেন, সাহেদের সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা নেই। সাহেদের বোটের মাঝি নবীরের সঙ্গে স্থানীয় শ্রমিক দলের নেতা মঞ্জুরের আর্থিক লেনদেনের একটি বিষয় রয়েছে। ওই ঘটনার জেরে হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।
বিজ্ঞাপন
হাতিয়ার নলচিরা নৌ-পুলিশের ইনচার্জ (এসআই) মৃধুল চন্দ্র কপালি জানান, হাতিয়ায় থানায় মামলা দায়েরের পর এটি তদন্তের জন্য আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে, তদন্ত শেষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিনিধি/এসএস