ময়মনসিংহের ভালুকায় কৃত্তিকা চক্রবর্তী (৯) নামে এক শিশুকে হত্যা করেছেন তার মা। এরপর শিশুটির লাশ নিয়ে বসেছিলেন ওই নারী।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পৌর শহরের মেজর ভিটা এলাকার সাদিক টাওয়ারের তিন তলার ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে। এ হত্যাকাণ্ডের পর মা কেয়া চক্রবর্তীকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ছুরিকাঘাতে অ্যাম্বুলেন্স চালক নিহত
নিহত কৃত্তিকা চক্রবর্তী খাগড়াছড়ি জেলার রামগর উপজেলার প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীর একমাত্র মেয়ে। প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী সপরিবারে ভাড়া বাসায় থেকে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। কৃত্তিকা চক্রবর্তী গাজীপুর শাহীন স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আটক কেয়া চক্রবর্তী কয়েক দিন ধরে পারিবারিক কলহের কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। ঘটনার দিন সকালে স্বামী প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী কাজে বেরিয়ে যান। এ সময় কেয়া চক্রবর্তীর ভাই অলোক চক্রবর্তী বাসায় ছিলেন। দুপুরের পর অলোক চক্রবর্তীও বাসা থেকে বেরিয়ে যান। কাজ শেষে ফেরার পর রুমের দরজা বন্ধ পান। অনেক ডাকাডাকি করলেও কেয়া চক্রবর্তী কোনো সাড়া দেননি। পরে অলোক চক্রবর্তী স্থানীয় মানুষ ও পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে কৃত্তিকা চক্রবর্তীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় মা কেয়া চক্রবর্তী মেয়ের পাশেই বসেছিলেন। এমতাবস্থায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার ও কেয়া চক্রবর্তীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: সালিশ বৈঠকে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামছুল হুদা বলেন, আটক কেয়া চক্রবর্তী নিজ মুখেই স্বীকার করেছেন যে তিনি তার মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্ত করার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রতিনিধি/ এমইউ
