নোয়াখালী পৌর এলাকায় ছুরিকাঘাতে অ্যাম্বুলেন্স চালক জামাল হোসেন (৩২) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হৃদয়কে (১৮) গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: সালিশ বৈঠকে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা
জামালের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আনার পর অভিযোগটি হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করা হবে বলে জানিয়েছেন সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি।
নিহত জামাল উদ্দিন নোয়াখালী পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ড মধুসূদনপুর এলাকার ফরিদ হাজী বাড়ির রফিক উল্ল্যার ছেলে। দুই ছেলের জনক জামাল উদ্দিন পেশায় একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক ছিলেন।
নিহতের বাবা রফিক উল্ল্যা জানান, প্রায় তিন মাস আগে শহরের হসপিটাল সড়কে ছিনতাই করার সময় স্থানীয়দের হাতে আটক হয় মধুসূদনপুর এলাকার রায়হানের ছেলে হৃদয়। এ সময় লোকজন তাকে গণপিটুনি দিলে বাড়ির পাশের লোক হওয়ায় জামালসহ কয়েকজন নিজেদের জিম্মায় নিয়ে হৃদয়কে উদ্ধার করে। লোকজনের সামনে হৃদয়কে শাসন করে চড়থাপ্পড় দিয়ে ছাড়িয়ে নেয় জামাল।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু
তিনি আরও বলেন, চড়থাপ্পড়ের ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় হৃদয়। এ ঘটনার পর মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ করে পায়ে হেঁটে বাড়িতে আসছিল জামাল। পথে ট্রাস্ট ওয়ান হসপিটালের ভেতরে গলিতে ঢুকলে অন্ধকার থেকে এসে প্রথমে জামালের পিঠে ও পরে পেটে ধারালো ছুরি দিয়ে জখম করে হৃদয়। পরে আশপাশের লোকজন জামালকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ওই হাসপাতালে মারা যান তিনি।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, জামালের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন শুক্রবার রাত ১০টার দিকে হাসপাতাল সড়ক থেকে হৃদয়কে আটক করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জামাল হত্যার ঘটনায় একমাত্র আসামি হিসেবে হৃদয়কে অভিযুক্ত করে কারাগারে পাঠানো হবে।
প্রতিনিধি/ এমইউ