কুড়িগ্রামের নদী তীরবর্তী এলাকায় বেড়েছে ভাঙন। এর ফলে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদীর তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। এ কারণে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও দুধকুমার নদের আশপাশের শত শত বিঘা ফসলি জমি ও ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
গত দু’দিনে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের আক্কেল মামুদ কমিউনিটি ক্লিনিক, কুদের কুটি কাশেম বাজার জামে মসজিদ, ৬০টি বসতবাড়িসহ শতাধিক ফসলি জমি, গাছপালা নদীতে বিলীন হয়েছে। এছাড়া খুদের কুটি আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়, বন্যার আশ্রয়কেন্দ্র ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে দিন-রাত গাছের ডাল ও বস্তা ফেলে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভাঙনকবলিত এলাকার লোকজন।
আরও পড়ুন: যেকোনো মুহূর্তে তিস্তার পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করতে পারে
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, চলমান বন্যায় জেলার চারশ ৩১ হেক্টর জমির আমন ক্ষেতসহ অন্যান্য ফসল নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় আমনের ক্ষতি না হলেও অন্যান্য ফসল নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘নদী থেকে বালু উত্তোলন জাতীয় দস্যুতায় পরিণত হয়েছে’
বিজ্ঞাপন
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ সব নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে কাজের অনুমতি না থাকায় কিছু করা যাচ্ছে না।
প্রতিনিধি/ এমইউ