টানা বৃষ্টির কারণে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে তিস্তা। তাতে যোগ হয়েছে ভারতের ছাড়া পানি। সব মিলিয়ে রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমা ছুঁই ছুঁই করছে। যেকোনো মুহূর্তে বিপদ সীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে দেখা দিয়েছে বন্যার শঙ্কা। ইতোমধ্যে পানি বৃদ্ধির কারণে তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে ৫২ দশমিক ১০ সেন্টিমিটারে পানি প্রবাহিত হয়েছে। এই পয়েন্টে বিপদ সীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। যেকোনো সময়ে তিস্তার পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করতে পারে এই পয়েন্টে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ‘নদী থেকে বালু উত্তোলন জাতীয় দস্যুতায় পরিণত হয়েছে’
অপরদিকে রংপুরে তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টেও পাল্লা দিয়ে হু হু করে পানি বাড়ছে। সন্ধ্যা ৬টার তথ্য অনুযায়ী কাউনিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ ছিল ২৯ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার। ওই পয়েন্টে বিপদ সীমা ধরা হয় ২৯ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার। আর ১ সেন্টিমিটার হলেই বিপদ সীমার মধ্যে থাকবে পানি। ধারণা করা হচ্ছে যে রাতের মধ্যে বিপদ সীমা অতিক্রম করবে তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টের পানি।
টানা বর্ষণসহ উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধির ফলে রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছায় বন্যার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যার কারণে চর এলাকা ও নিম্নাঞ্চলে চাষ করা আমন ধান, আগাম আলুসহ অন্যান্য সবজি এখন পানির নিচে। পানি দ্রুত নেমে না গেলে নষ্ট হবে ফসল আর কৃষকদের পথে বসতে হবে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় লাইটার জাহাজ থেকে পড়ে একজন নিখোঁজ
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা জানান, অসময়ে বন্যা হলে আমন ধান ও আগাম আলুসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হবে। এতে কৃষকদের চরম ক্ষতি হবে। এ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসন সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। একইসাথে তিস্তার পানি বাড়ায় এবং বন্যার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, কয়েক দিন থেকে টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলের কারণে পানির চাপ সামলাতে তিস্তার ৪৪ জলকপাট খোলা রাখা হয়েছে। সকাল থেকেই পানি বাড়ছিল। সন্ধ্যা নাগাদ তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ ছিল ২৯ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার। এটা আর ১ সেন্টিমিটার হলেই বিপদ সীমার মধ্যে থাকবে পানি। তাছাড়া পানি বাড়ায় তিস্তা সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে সবসময় মনিটরিং করা হচ্ছে।
প্রতিনিধি/ এমইউ