সৌদি আরবে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে একই পরিবারের তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী জহিরুল জমাদ্দার।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বরিশাল মানব পাচার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
বিচারক সোহেল আহমেদ মামলায় আনা অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা।
ভুক্তভোগী জহিরুল জমাদ্দার বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার আড়াইবেকী গ্রামের বাসিন্দা ।
মামলার আসামিরা হলেন- সৌদি প্রবাসী বাকেরগঞ্জের আড়াইবেকী গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব জমাদ্দারের ছেলে বশির জমাদ্দার, তার স্ত্রী ঝুমুর বেগম ও তার বাবা সোহরাব জমাদ্দার।
বিজ্ঞাপন
মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী তুহিন জানান, আসামিরা একই এলাকায় হওয়ায় পূর্ব পরিচিত। পরিচয়ের সূত্র ধরে বাদী জহিরুলসহ আরেক ব্যক্তি মনির খানকে সৌদি আরবে ভালো বেতনে চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেয় আসামিরা। প্রলোভনে সাড়া দিয়ে দুই জনে ১০ লাখ টাকা দেয় আসামিদের।
২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর দুই জনকে সৌদি আরব নেওয়া হয়। সৌদির আরবে হায়েল সিটির আল খাস্তা গ্রামের একটি কক্ষে নিয়ে দুই জনকে রাখা হয়। পরে তাদের মরুভূমিতে কাজ দেয়। ওই কাজ করতে না চাইলে তাদের একটি ঘরে নিয়ে আটকে রেখে নির্যাতন করে। পরে তাদের কাছ থেকে পাসপোর্ট ও ভিসাসহ ৬৯ হাজার ৫০০ রিয়াল মুক্তিপণ হিসেবে নেয়। পাসপোর্ট ও ভিসা না থাকায় পুলিশ জহিরুলকে আটক করে। গত ৮ মে জহিরুল ও মনির খানকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। দেশে ফিরে এসে টাকা ফেরত চাইলে আসামিরা জহিরুলকে হত্যার হুমকি দেয়। তাই আদালতে মামলা করে ন্যায় বিচার চেয়েছেন বাদী জহিরুল।
প্রতিনিধি/এসএস