নোয়াখালীর দ্বীপ হাতিয়ার ভাসানচরের কাছে লাইটার জাহাজ থেকে পড়ে মো: রাকিব (১৮) নামে একজন নিখোঁজ হলে পরের দিন ইসলাম চরে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় রাখালরা। পরে রাখালদের টং ঘরে নিয়ে সেবা-শুশ্রূষা দিলে তার জ্ঞান ফিরে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: দামুড়হুদায় বজ্রপাতে নিহত ১
মো: রাকিব উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত দুলাল উদ্দিনের ছেলে। সে এমবি সানি-৫ নামের জাহাজে খালাসি হিসেবে কর্মরত ছিল।
মো: রাকিবের বড় ভাই রবিন জানান, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে এমভি সানি-৫ লাইটার জাহাজ চট্রগ্রাম থেকে গম নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। ওই সময় ভাসানচরের পূর্ব পাশে এলে ঝড়ো হাওয়ায় গমগুলো ভিজে যাচ্ছিল। পরে আমার ভাইসহ অন্যান্যরা ত্রিপল দিয়ে সেসব খাদ্যপণ্য ঢেকে দিচ্ছিল। তখন ঢেউয়ের ধাক্কায় আমার ভাই রাকিব জাহাজ থেকে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: মহাপরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে মানিকগঞ্জে নার্সদের মানববন্ধন
বিজ্ঞাপন
পরের দিন শনিবার বিকেল ৩টার দিকে ইসলাম চরে অজ্ঞান অবস্থায় আমার ভাইয়ের উদ্ধারের খবর পাই। আবহাওয়া খারাপ থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে চর থেকে তাকে হাতিয়া হাসপাতালে আনতে পারিনি। অবশেষে রোববার সন্ধ্যায় তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ট্রলারে করে হাতিয়ার নলচিরা ঘাটে আনতে সক্ষম হই এবং হাসপাতালে ভর্তি করাই।
রোগীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শিহাব উদ্দিন জানান, তার অক্সিজেনের লেভেল মোটামুটি ভালো আছে, তবে দিনের বেলায় বোঝা যাবে পরবর্তী অবস্থা।
এমভি সানি: ৫-এর মাস্টার মো: আমজাদ জানান, আমাদের স্টাফ রাকিবের চিকিৎসার বিষয়ে আমরা তত্ত্বতালাশ করে যাচ্ছি। আমরা তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাবো।
প্রতিনিধি/ এমইউ