বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোলার মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলার পাঁচটি জেলে ট্রলার বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ডুবে গেছে। এ ঘটনায় ৫টি ট্রলারের ৪৯ জন মাঝিমাল্লাকে জীবিত উদ্ধার হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই ৫টি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় ঢাকা মেইলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাঁচটি ট্রলারের মধ্যে ৪টি ট্রলার ডুবছে নোয়াখালীর নিঝুম দ্বীপ সংলগ্ন খরচির চর এলাকার বঙ্গোপসাগর মোহনায়। অপরটি ডুবছে ঢালচর এলাকার বঙ্গোপসাগর মোহনায়। পাঁচটি ট্রলারে মোট ৪৯ জন মাঝিমাল্লা ছিল। তাদের সবাই জীবিত উদ্ধার হয়েছে। পাঁচটি ট্রলারের মধ্যে ৪টি ট্রলার মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের উৎপল মাঝি, স্বপন মাঝি, বাকের মাঝি ও আব্দুল হান্নান দফতরির৷ অপরটি ঢালচর ইউনিয়নের মো. আকতার মাঝির।
ডুবে যাওয়া ট্রলারের মধ্যে উৎপল মাঝির ট্রলারে ছিলেন ৭ জন মাঝিমাল্লা, স্বপন মাঝির ট্রলারে ছিলেন ৮ জন, বাকের মাঝির ট্রলারে ছিলেন ১০ জন, আব্দুল হান্নান মাঝির ট্রলারে ছিলেন ১৪ জন এবং আকতার মাঝির ট্রলারে ছিলেন ১০ জন মাঝিমাল্লা।
খরচির চর এলাকায় ডুবে যাওয়া ৪টি ট্রলারের মাঝিমাল্লারা মনপুরার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। অন্যদিকে ঢালচর এলাকায় ডুবে যাওয়া আকতার মাঝির ট্রলারের সব জেলের বাড়ি ঢালচর ও চর মানিকা এলাকায়।
বিজ্ঞাপন
ডুবে যাওয়া ট্রলারের মাঝি আকতার, উৎপল, বাকের ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব ঢাকা মেইলকে জানান, শুক্রবার দুপুর থেকে হঠাৎ করে বঙ্গোপসাগর মোহনায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করে। এসময় ডুবে যাওয়া ট্রলারের মাঝিরা সাগর থেকে নিরাপদ জায়গায় আসতে শুরু করেন। বিকেল ৪টার দিকে প্রবল ঢেউয়ের চাপে আকতার মাঝির ট্রলারটি ১০ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে ডুবে যায়। সঙ্গে সঙ্গে অপর একটি ট্রলার ৩ জেলেকে উদ্ধার করে। ঘটনার ৩ ঘণ্টা পর অন্য দুটি ট্রলার নিখোঁজ ৭ জেলেকে উদ্ধার করে ঢালচর এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নোয়াখালীর নিঝুম দ্বীপ সংলগ্ন খরচির চর এলাকার একই জায়গায় উৎপল মাঝি, স্বপন মাঝি, বাকের মাঝি ও আব্দুল হান্নান মাঝির ট্রলারসহ ৪টি ট্রলার ডুবে যায়। এসময় ডুবে যাওয়া ট্রলারের মাঝিমাল্লারা সাগরে থাকা বয়া ধরে ভেসে থাকে। ঘণ্টাখানেক পর অপর দুটি ট্রলার তাদেরকে উদ্ধার করে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোলার চরফ্যাশন ও মনপুরার ৫টি জেলে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ঘটনায় নিখোঁজ কেউ নেই। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত জেলেদের তালিকা তৈরি করে তাদেরকে সরকারি সহায়তায় প্রদান করব।
একই কথা জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর হুসাইন।
প্রতিনিধি/এসএস