নারায়ণগঞ্জ বন্দরের দেওয়ানবাগ আস্তানা ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে স্থানীয় ১০ গ্রামের কয়েক হাজার জনগণ।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) ভোরে বির্তকিত দেওয়ানবাগী পীরের আস্তানায় তারা ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বির্তকিত দেওয়ানবাগী পীরের জন্মবার্ষিকী পালনের প্রস্ততি নেয় তার অনুসারীরা। এসময় দেওয়ানবাগ জামে মসজিদের মুসল্লিরা বাধা দিলে পীরের অনুসারীরা মুসল্লিদের ধাওয়া করে।
এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার ভোরে আশপাশের ১০ গ্রামের মুসল্লিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোরে বির্তকিত দেওয়ানবাগী পীরের আস্তানায় হানা দিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।
সংবাদ পেয়ে এএসপি বিল্লাল হোসেন ও বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রায় ৩০ বছর আগে দেওয়ানবাগী পীর মাহবুব-এ-খোদা ইসলাম নিয়ে নানা বক্তব্য দিয়ে বির্তকিত হন। এ নিয়ে আলেম ওলামাদের সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। সে সময় দেওয়ানবাগী পীরের অনুসারীদের সঙ্গে এলাকাবাসীসহ মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়। ওই সময় দেওয়ানবাগী পীরের অনুসারীদের গুলিতে বেশ কয়েকজন নিহত হন। ২০২০ সালের দেওয়ানবাগী পীর মারা যায়।
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভোরের দিকে বিভিন্ন এলাকার মানুষ একসঙ্গে জড়ো হয়ে দেওয়ানবাগীর আস্তানায় হামলা করে। প্রথমে দেয়াল টপকে সেখানে অনেকে ঢুকে পড়ে। তারপর দেওয়ানবাগীর দরবারে আগুন লাগিয়ে দেয়।
বন্দরের মদনপুর এলাকার বাসিন্দা মো. বাবলু জানায়, ভন্ড পীর দেওয়ানবাগীর ওপর অনেক আগে থেকেই এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত ছিল। অনেক সময় এখানে তার ওরস হতো। তখনও মানুষ এখানে হামলা করত। এতে তাদের কার্যক্রম অনেকদিন বন্ধ ছিল। শুক্রবার সকালে আমাদের এলাকার জনগণ একত্র হয়ে এখানে হামলা করে।
একই এলাকার সাইফুল ইসলাম বলেন, দেওয়ানবাগী আস্তানা এখান থেকে উৎখাত করতে হবে। এই অভিশাপ এখান থেকে না সরানো পর্যন্ত আমরা থামব না। যেভাবেই হোক এই আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে হবে।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, সকালে দেওয়ানবাগীর আস্তানায় কে বা কারা যেন হামলা করে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। এখন পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা তদন্ত করে জড়িতের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/এসএস