মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

বিবাহিত আ.লীগ নেতা লাল মিয়াকে স্বামী হিসেবে পেতে কলেজছাত্রীর অনশন

জেলা প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২১ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আওয়ামী লীগ নেতা লাল মিয়ার সঙ্গে ৭ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন এক কলেজছাত্রী। এক পর্যায়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। পরে কলেজছাত্রী (তরুণী) বিয়ের তাগিদ দিলে টালবাহানা করতে থাকেন।

এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়। সালিশে ওই ছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিলেও বিয়ে করেননি আওয়ামী লীগ নেতা।


বিজ্ঞাপন


অভিযুক্ত ওই আওয়ামী লীগ নেতা উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে বিয়ের দাবিতে দ্বিতীয় বারের মতো তার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। এ ঘটনার পর পালিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা লাল মিয়া।

এদিকে, ঘটনার পর থেকে লাল মিয়ার স্ত্রী ও শাশুড়ি বারান্দায় তালা দিয়ে ঘরে অবস্থান করছেন। বাধ্য হয়ে উঠানে বসে রাতযাপন করেন ওই তরুণী।

এর আগে গত ২৩ জুলাই সকালে বিয়ের দাবিতে লাল মিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেন ওই কলেজছাত্রী। এসময় লাল মিয়ার স্ত্রী ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়ে তাকে ঘর থেকে বের করে দেন। স্থানীয়দের চাপে লাল মিয়া ওই ছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে মোটরসাইকেলযোগে বের হন। পরে আর বিয়ে করেননি।


বিজ্ঞাপন


শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে ওই কলেজছাত্রী বিয়ের দাবিতে লাল মিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেন।

আরও পড়ুন

জিল্লুল হাকিমের কেয়ারটেকার শত কোটি টাকার মালিক, বিচারের দাবি এলাকাবাসী

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে লাল মিয়ার ফোনে একাধিকবার কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী বলেন, ৭ বছর আগে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিভিন্ন সময়ে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক মেলামেশা শুরু হয়। এখন সে বিয়ে করবে না বলে তালবাহানা শুরু করছে। তাই বিয়ের দাবিতে অনশন করছি। তার স্ত্রী ও মা ঘরে তালা দেওয়ায় সারারাত উঠানে বসে রাত কাটিয়ে দিয়েছি। স্থানীয়রা আমার এই অবস্থা দেখতে এসেছেন। তবে কেউ সমাধান করেননি। আমি লাল মিয়াকে স্বামী হিসেবে পেতে চাই।

এ বিষয়ে লাল মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

এ ঘটনায় বাঁশতৈল ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল দেওয়ান জানান, লাল মিয়া এবং ওই কলেজছাত্রীর বিয়ের বিষয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। সালিশে বিয়ে করতে রাজি হলেও পারিবারিক চাপে এড়িয়ে চলছেন লাল মিয়া। শনিবার সকালেও ইউপি কার্যালয়ে তাদের ব্যাপারে সালিশ বসে। সালিশ থেকে লাল মিয়া কৌশলে চলে যাওয়ায় শেষ করা সম্ভব হয়নি। বিয়ের দাবিতে ওই কলেজছাত্রী বাড়িতে অবস্থান নেয়া লাল মিয়ার কৌশলও হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর