কিশোরগঞ্জ শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত পাগলা মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স খোলা হয়েছে। একইসাথে চলছে গণনা কাজ।
শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টায় এ দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: পাগলা মসজিদের দানবাক্সে নকল টাকা
জেলা শহরের ঐতিহাসিক মসজিদটির দানবাক্সগুলো প্রতি তিন মাস পরপর খোলা হয়। তবে এবার খোলা হয়েছে তিন মাস ২৬ দিন পর।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তরিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।
আরও পড়ুন: বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ১০০তম জন্মবার্ষিকী আজ
বিজ্ঞাপন
এখন চলছে গণনার কাজ। গণনা শেষে টাকার পরিমাণ বলা যাবে। টাকা গণনার কাজে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা ছাড়াও মাদরাসার ২৪৫ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ কর্মী, মসজিদ কমিটির ৩৪ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ সদস্য অংশ নিয়েছেন।
দানবাক্সগুলো খোলার পর গণনা দেখতে মসজিদের আশপাশে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকে এসেছেন দূর-দূরান্ত থেকে। এর আগে চলতি বছরের ২০ এপ্রিল চার মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন গণনা শেষে সাত কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া যায়।
ঐতিহাসিক এ মসজিদের দানবাক্সে একসঙ্গে এত টাকা পাওয়াটা তখন ছিল নতুন রেকর্ড। মসজিদটিতে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ। জেলা শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে পাগলা মসজিদ গড়ে উঠেছে। সম্প্রসারণের পর মসজিদের আওতাভুক্ত জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে তিন একর ৮৮ শতাংশে।
প্রতিনিধি/ এমইউ