তীব্র গরমে শিশুরা ঝুঁকছে আইসক্রিমে 

গত কয়েক দিন ধরে গাইবান্ধায় অব্যাহত রয়েছে প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরম। তীব্র এই গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এরই সুযোগে গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক হারে বিক্রি হচ্ছে আইসক্রিম। দাবদাহে সাময়িক তৃষ্ণা মেটাতে শিশুরা আইসক্রিম খেয়ে প্রাণ জুড়ানোর চেষ্টা করছে।  

শনিবার (২৭ জুলাই) গাইবান্ধার নিভৃত গ্রামাঞ্চলে দেখা যায় - গরমের ফাঁদে পড়া মানুষের হাঁসফাঁসের চিত্র। এ সময় আইসক্রিম বিক্রেতার মাইকের শব্দে ছুটাছুটি করছিল একদল শিশু। এরা বাবা-মায়ের কাছে টাকা-পয়সা নিয়ে কিনে খাচ্ছিল আইসক্রিম।    

আরও পড়ুন: সিলেটে ফের বন্যা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা

গাইবান্ধা জেলায় চার দিন ধরে প্রখর রোদের ঝলকানি রয়েছে। এমন রোদে পুড়ছে কৃষকের মাঠসহ বাসা-বাড়ি ও পথঘাট। এছাড়া বৃষ্টিরও দেখা নেই। এর ফলে বেড়েছে দাবদাহ। অসহনীয় গরমে মানুষের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করছে। মাঝে মাঝে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে হাঁপিয়ে উঠছেন তারা। এছাড়া মানুষের মাঝে বেড়েছে বিভিন্ন মৌসুমি রোগের প্রকোপ। অনেকে ডায়রিয়া, সর্দি, জ্বর, কাশি, মাথাব্যথা ও নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে এক পশলা বৃষ্টির আশা করছেন সবাই। তবে গরমের সুযোগে ব্যবসা বেড়েছে কনফেকশনারি দোকানিদের। এসব দোকানে ফ্রিজে রাখা পানীয়, আইসক্রিম, দই, শরবত ও বিভিন্ন ঠান্ডা খাবার কিনতে ভিড় করছে গরমের কবলে পড়া লোকজন। 

ইসরাফিল হোসেন তৌফিক নামের এক শিশু বলেছে - এতো গরম ভালো লাগে না। পড়তেও মন বসে না। কেন জানি সবকিছু এলোমেলো লাগছে। তাই আম্মুর কাছে ১০ টাকা নিয়ে একটা আইসক্রিম খেলাম। এখন একটু ভালো লাগছে।  

বুজরুক রসুলপুর গ্রামে আসা ভ্রাম্যমাণ আইসক্রিম বিক্রেতা খবির উদ্দিন বলেন, গরম পড়লেই ভ্যানে বাক্সভর্তি আইসক্রিম নিয়ে গ্রাম-গ্রামে বিক্রি করি। এটা শিশুসহ সব বয়সের মানুষের তৃষ্ণা মিটানোর উপযোগী। এরই সুযোগে গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক হারে বিক্রি হচ্ছে আইসক্রিম।