রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

আমরা এতিম হয়ে গেলাম: সামিউল 

আরিফুর রহমান, ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:২১ পিএম

শেয়ার করুন:

আমরা এতিম হয়ে গেলাম: সামিউল 

আমার বাবা ছিল আয়ের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার আয়ে আমাদের তিন ভাইবোনের লেখাপড়ার খরচসহ সংসার চলতো। এখন আমাদের বাবা নাই। কেউ আর আমাদের খরচ চালাবে না। আমাদের আদর ভালোবাসা দিবে না। আমরা এতিম হয়ে গেলাম— কান্নাজড়িত কণ্ঠে এমনটাই বলছিল ঢাকায় বাড্ডা এলাকায় গুলিতে নিহত হওয়া কামাল হোসেনের ছেলে সামিউল ইসলাম (১৩)।

সামিউল ঝালকাঠি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে।


বিজ্ঞাপন


জানা যায়, গত ২০ জুলাই বাসা থেকে নাশতা খেতে বের হয়েছিলেন কামাল হোসেন। এসময় হঠাৎ এক গুলি এসে তার মাথায় লাগলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। কামাল হোসেন বেসরকারি টেভি চ্যানেল আই এর গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিনয়কাঠী ইউনিয়নের বালকদিয়া এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মুনসুর হাওলাদারের ছেলে। তার দুই ছেলে ও ৩ বছর বয়সী একটা মেয়ে রয়েছে।

কামাল হোসেনের স্ত্রী সাদিয়া বেগম রানু বলেন, আমার স্বামী কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত হয়েছেন। তার আয়ে আমাদের সংসার চলতো। আমরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম। আমার ছেলে মেয়েদের দেখার মতো কেউ রইলো না। ছোট মেয়েটা বাবা বাবা করে কান্না করছে। ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে ঝালকাঠিতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতাম। এখন খরচ চালানোর মতো আর কেউ থাকলো না। আমি সরকারের সহযোগিতা চাই যাতে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বেঁচে থাকতে পারি।

 


বিজ্ঞাপন


কামালের স্ত্রীর ভাই রিপন হাওলাদার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসি। আমার ভাগিনা ভাগ্নি এতিম হয়ে গেলো। ওদের আহাজারি দেখে আমরা কান্না ধরে রাখতে পারছি না।

প্রতিনিধি/টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর