মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

সংঘর্ষের পর ববি ছাড়লো পুলিশ, আহত ৫০

জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল
প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:২৮ পিএম

শেয়ার করুন:

সংঘর্ষের পর ববি ছাড়লো পুলিশ, আহত ৫০

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) কোটা সংস্কারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে সরে আসে পুলিশ। এ সময় ৫০ জন আহত হন।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় বেরোবি উপাচার্যের শোক

এ সময় শিক্ষার্থীরা চারদিক থেকে পুলিশকে ঘিরে ধরে। এ সময় পুলিশ টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল ছুড়ে প্রতিরোধ গড়ে তুললে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তোপের মুখে পড়ে ক্যাম্পাসের সামনের মহাসড়ক ছেড়ে চলে যায়। 

এরপরই ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন ববি শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছে ছয় শিক্ষার্থী। অন্যদিকে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছে। বরিশালে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে চার প্লাটুন বিজিবি।

এর আগে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালনে সকাল ১০টা থেকে ক্যাম্পাসে সমবেত হয় শিক্ষার্থীরা। এ খবরে র‌্যাব, পুলিশ, এপিবিএন ও বিজিবির সদস্যরা সেখানে জড়ো হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহাসড়ক থেকে পুলিশকে সরে যেতে আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা। নির্ধারিত সময়ে পুলিশ সরে না গেলে ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে ইটপাটকেল ছোড়ে শিক্ষার্থীরা। এ সময় আশপাশের দোকানপাটে অবস্থান নেন পুলিশ সদস্যরা। পরে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে পুলিশকে ঘিরে ধরে শিক্ষার্থীরা। পরে কোণঠাসা হয়ে ক্যাম্পাসের সামনের মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান পুলিশ সদস্যরা। এ সময় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরাপত্তা দিয়ে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতু পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ

এর আগে পরে ১২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা। সে সময় পার হলেই সংঘর্ষ শুরু হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সুজয় শুভ বলেন, আমাদের অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছে। পুলিশ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট ছুড়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

বরিশাল নগর পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহমান মুকুল বলেন, শিক্ষার্থীদের হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে। এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আমরা মহাসড়কের দু’পাশে অবস্থান নিয়েছি। শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে।

প্রতিনিধি/ এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর