বগুড়ার শেরপুরে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শেরপুর থানার ওসি, ছাত্র ও সাধারণ মানুষসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১টায় উপজেলার ধুনটমোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় কোটা ইস্যু নিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষ
সংঘর্ষে আহতরা হলেন - শেরপুর থানার ওসি রেজাউল করিম, সাব-ইন্সপেক্টর তরিকুল, রকিব, এ এস আই মাসুদ, শিক্ষার্থী মারুফ, জিম, নজরুল, সনেট, আলী, জীবন, দোকানদার নাসের উদ্দিন, মুন, বাবু, রহমত, পথচারী আব্দুস সামাদ, নুরুল ইসলাম, সোলাইমান। বাঁকিদের নাম পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সারাদেশের চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুয়ায়ী বেলা ১১টার দিকে শেরপুর ধুনট সড়কের তালতলা এলাকায় কিছু শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্থান থেকে এসে জড়ো হয়। এর কিছুক্ষণের পর তারা শ্লোগান দিতে দিতে মহাসড়কের দিকে আসে।
দুপুর ১২টার দিকে প্রায় দু’হাজার শিক্ষার্থী এসে আন্দোলনে যোগ দেন। এরপর তারা পৌর শহরে ধুনট মোড় হয়ে বাসস্ট্যান্ড ও শেরুয়া বটতলা এলাকায় মিছিল করে ধুনটমোড়ে এসে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে কোটাবিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ৬ জনকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
প্রায় পৌনে ১ ঘণ্টা তারা সড়কে অবস্থান করায় রাস্তার দু’পাশে ঢাকা ও বগুড়াগামী যানবাহনে যানজট লেগে যায়। এ সময় শেরপুর থানা পুলিশ শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে উঠে যেতে বলে। পরে তারা উত্তেজিত হলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের দিকে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পাল্টা টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ, পথচারী, দোকানের মালিক ও কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ ২৫ জনের মতো আহত হয়।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, মহাসড়ক ছেড়ে দিয়ে ধুনটমোড় ফাঁকা জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে তাদের মিছিল কারার জন্য অনুরোধ করা হয়। হঠাৎ করে তারা উত্তেজিত হয়ে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। ইটপাটকেলের আঘাতে আমাদের পুলিশ সদস্য ও আমিসহ চারজন আহত হয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।
প্রতিনিধি/ এমইউ