রাখাইনে চলমান সংঘাতের জেরে আবারও দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির দুই শতাধিক সদস্য পালিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যও রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ও শুক্রবার (১২জুলাই) সকালে টেকনাফ সীমান্তের সাবরাংয়ের তিনটি পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সদস্যরা। পরে তাদেরকে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা হেফাজতে নেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: সেন্ট মার্টিনে পালিয়ে এলো ৩১ রোহিঙ্গা ও ২ বিজিপি
গত দু’দিনে মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যরা ধাপে ধাপে টেকনাফে পালিয়ে আসে। এর মধ্যে গত বুধবার সকালে ২০ জন এবং বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের ১১৯ জন সেনা ও বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছে। তবে আজ ভোরে আসা বিজিপি সদস্যদের সংখ্যা আনুমানিক অর্ধশতাধিক হতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, নতুন করে মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা এপারে আশ্রয় নিয়েছে বলে শুনেছি। তারা বিজিবি ও কোস্টগার্ডের হেফাজতে রয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্তক অবস্থানে আছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে গোলাগুলির শব্দ, টেকনাফে আতঙ্ক
বিজ্ঞাপন
এদিকে গত বুধবার রাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও দেশটির সরকারি বাহিনীর মধ্যেকার সংঘর্ষের কারণে মর্টারশেল ও ভারী গোলার বিকট শব্দ শোনা গেছে টেকনাফ সীমান্তে। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শব্দ কমেছে।
নতুন করে কোনো অনুপ্রবেশকারীকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়ে টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সীমান্তে সার্বক্ষণিক বিজিবির সদস্যরা টহল দিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমারের এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।
সীমান্তের বাসিন্দারা বলছেন, রাখাইনে যুদ্ধের কারণে তারা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। চলমান যুদ্ধের কারণে আতঙ্কের মধ্যেই দিন কাটছে। আজ রাতেও বিমান হামলা ও বিস্ফোরণের বিকট শব্দে তাদের বাড়ি-ঘর কেঁপে ওঠে।
প্রতিনিধি/ এমইউ