সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেমন আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল, তেমনিভাবে কোটা আমাদের মানসিকভাবে হত্যা করছে।
শনিবার (৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে একটি মিছিল শুরু হয়ে লাইব্রেরি ভবন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, গ্যারেজ, শান্তি নিকেতন, ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: রংপুরে কোটা সংস্কারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
মিছিল শেষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের রাস্তা (সোনাপুর-সুবর্ণচর রাস্তা) অবরোধ করে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
শিক্ষার্থীরা কোটার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে বলেন, ‘বৈষম্যের ঠাঁই নাই, আমার সোনার বাংলায়’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘কোটা প্রথা মানি না, মানব না’, ‘কোটা প্রথা বাতিল করো, করতে হবে’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়-বৈষম্যের ঠাঁই নাই’।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষা বিভাগের ১৫ তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, কোটা ব্যবস্থা মেধার অবমূল্যায়ন করছে, অনার্স শেষ করে শিক্ষার্থীরা যখন চাকরির বাজারে আসে, তখন চাকরি না পেয়ে হতাশায় আত্মাহত্যা করে। পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ে কোটা দিয়ে যখন কেউ উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যায় তখন ওই দেশের ধ্বংস অনিবার্য।
সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৭ ব্যাচের আরেক নারী শিক্ষার্থী বলেন, সরকার একটা নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষকে বেশি সুবিধা দিচ্ছে। আমি ব্যাক্তিগতভাবে নারীদের কোটা চাই না। পুরুষদের সঙ্গে পরিশ্রম করে আমাদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে চাই। তবে সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য কোটা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিনিধি/ এমইউ

