মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

সুদ-ঘুসের বিরুদ্ধে বয়ান করে চাকরি হারালেন ইমাম

জেলা প্রতিনিধি, চাঁদপুরর
প্রকাশিত: ০৬ জুলাই ২০২৪, ০১:৪৮ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

মসজিদে বয়ানের সময় সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে কথা বলে চাকরি হারিয়েছেন চাঁদপুরের এক ইমাম। এই খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করায় পোস্টকারীসহ তিন মন্তব্যকারীকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, সমাজচ্যুত চার পরিবারের সদস্যরা অসহায় জীবন যাপন করছেন। সম্মুখীন হতে হচ্ছে নানা প্রতিবন্ধকতার।


বিজ্ঞাপন


জানা যায়, চাঁদপুরের মতলব উত্তর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. সাইফুদ্দিন বেপারী স্থানীয় মসজিদের ইমামকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে গত ২২ জুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান দেয়ান, ইমামের চাকরি গেল’ লিখে একটি পোস্ট করেন।

আর তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় আরও তিন পরিবারের সদস্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করায় মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসীর সম্মানহানি হয়েছে দাবি করে ২৯ জুন সন্ধ্যায় এক বৈঠকের মাধ্যমে ওই ৪ পরিবারকে সমাজচ্যুত করেন তারা।

মসজিদের ইমাম রহমত উল্লাহ বলেন, ঈদের পরের শুক্রবার মসজিদে সুদ ও ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান করলে মসজিদ কমিটির লোকজন ক্ষেপে যান। তখন ইমামকে চাকরি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করে বলেও জানান মসজিদের ইমাম।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য রুহুল আমিন মিয়াজী বলেন, সমাজের মুসল্লিদের অপমান করায় এ শাস্তি দেয়া হয়েছে। তাদেরকে মসজিদে আসা-যাওয়া এবং সমাজের অন্য সবার সাথেও কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


ওই দিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- পৌর কাউন্সিলর মো. সবুজ বেপারী। পরিবারগুলোকে সমাজচ্যুত করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। সবুজ বেপারী বলেন, মুসল্লিদের অপমান করায় তাদের উপর একটা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে মসজিদ কমিটির কাছে ক্ষমা চাইলে ঠিক হয়ে যাবে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর চাঁদপুর সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, সমাজচ্যুত করার ক্ষমতা কারও নেই। ঘটনাটি মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন। এমন বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।

এ ঘটনার বিষয়ে মতলব উত্তর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর