চুরি করা মিটার ফেরত দিতে চিরকুট লিখে পলিথিনে মুড়িয়ে রেখে যায় চোর। চিরকুটে লেখা ছিল - ‘চুরি যাওয়া মিটার ফেরত পেতে ফোন করুন’। চিরকুটে থাকা নম্বরে গ্রহকরা ফোন করলে বিকাশ ও নগদ নম্বরে টাকা চাওয়া হয়। টাকা পাঠানোর পর মিটার কোথায় পাওয়া যাবে, তা বলা হবে বলে জানানো হয়।
শুক্রবার (৫ জুলাই) ভোরে উপজেলা গারিষাপাড়া, গোপালের মোড়সহ বেশ কয়েকটি এলাকার প্রায় ৩৬টি বৈদুতিক মিটার চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় ৭১০ পিস ইয়াবাসহ ৩ মাদক কারবারি আটক
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে উপজেলার গারিষাপাড়া, গোপালের মোড়সহ বেশ কয়েকটি এলাকার চাতাল, মিল, কারখানা ও বাড়ির প্রায় ৩৬টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়। চুরি হওয়া মিটারের স্থানে চিরকুট লিখে যায় চোর। সেই ফোন নম্বরে চুরি হওয়া মিটার ফেরত পেতে ভুক্তভোগীরা কল করলে তাদের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা পাঠালে চুরি হওয়া মিটার নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
গারিষাপাড়া এলাকার চাতাল মালিক মো. হাবিবুর রহমান জানান, আজ সকালে চাতালে এসে দেখেন তার মিটার নেই। তবে মিটারের স্থানে পলিথিনে মুড়িয়ে থাকা একটি চিরকুট দেখতে পান তিনি। চিরকুটের ভেতরে একটি কাগজে লেখা ছিল - ‘চুরি যাওয়া মিটার ফেরত পেতে ফোন করুন’। নিচের নম্বরে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বিজ্ঞাপন
আরেক মিল মালিক রবিউল করিম জানান, মিটার চুরির ঘটনা নতুন নয়। দীর্ঘ দিন ধরে চাতাল ব্যবসায়ী, মিল ও কারখানার মালিকদের কাছ থেকে মিটার চুরি করে বিকাশে ৪/৫ হাজার টাকা নিয়ে মিটার ফেরত দেয় চোরচক্র। তার মিটার আগেও একবার চুরি হয়েছিল। মিটারের নিচে রেখে যাওয়া নম্বরে কল দিলে বিকাশ নম্বর দেয়। সেই নম্বরে আগেও চার হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন। তারপর চোরের দেওয়া তথ্য অনুসারে, নদী তীরবর্তী স্থান থেকে মিটার সংগ্রহ করেছিলাম।
গুরুদাসপুর থানার কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জল হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, এসব চুরির ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। এ বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
প্রতিনিধি/ এমইউ

