সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

যশোরে ভাবীকে হত্যায় দেবরের ফাঁসির আদেশ

জেলা প্রতিনিধি, যশোর 
প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২৪, ০৭:৫৩ পিএম

শেয়ার করুন:

যশোরে ভাবীকে হত্যায় দেবরের ফাঁসির আদেশ

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় ভাবী জিনিয়া ইয়াসমিন তুলি হত্যা মামলায় তার দেবর বিমান বাহিনীর সাবেক কর্পোরাল প্রভোস্ট মোহাম্মদ শাহবুদ্দিনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে মামলার অপর দুই আসামি স্বামী জুলফিকার আলী ও শাশুড়ি ফরিদা বেগমকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। 

রোববার (৩০ জুন) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (চতুর্থ) আদালতের বিচারক সুরাইয়া সাহাব এই রায় দেন। 


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: দুর্বৃত্তের গুলি-ককটেলে আওয়ামী লীগ নেতাসহ নিহত ২

দণ্ডিত মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বাঘারপাড়া উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামের মৃত মোশারফের ছেলে। আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল স্বামী জুলফিকার আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন তুলি। এ সময় দেবর শাহাবুদ্দিন তার ঘরে প্রবেশ করলে শাশুড়ি ফরিদা তার ঘরের দরজা আটকে দেয়। এরপর শাহবুদ্দিন ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে তুলিকে কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে শাহাবুদ্দিন ও তার মা পালিয়ে যায়। 

প্রতিবেশীরা তুলিকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করে। পরে সিএমএইচ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পরের দিন দুই সন্তানের জননী তুলি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের পিতা ঝিকরগাছা উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের শহিদুল বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তুলির দেবর, শাশুড়ি সঙ্গে তার স্বামীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। 


বিজ্ঞাপন


প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তুলির স্বামী জুলফিকার আলীর দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়কে কেন্দ্র করে পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এ হত্যায় তার স্বামীর প্রত্যক্ষ মদদ ছিল। 

আরও পড়ুন: চোরের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল নারীর

দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তুলির দেবর শাহাবুদ্দিনকে ফাঁসি ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বিচারক। একইসঙ্গে মামলার অপর দুই আসামি স্বামী জুলফিকার আলী ও শাশুড়ি ফরিদা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দণ্ডিত আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। 

এদিকে এ রায়ে পরিপূর্ণ সন্তুষ্ট না মামলার বাদী পক্ষ। নিহত তুলির ভাই নূর আলম জানান, তুলির স্বামী জুলফিকার আলীও সরাসরি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত। চার্জশিটে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ফলে ওই দুই আসামির শাস্তি নিশ্চিত করতে উচ্চ আদালতে যাবেন তারা।

প্রতিনিধি/ এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর