দেশের সর্ববৃহৎ চিনিকল চুয়াডাঙ্গার কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ডিস্ট্রিলারি বিভাগের ১৩ হাজার লিটার ডিনেচার স্প্রিরিট (মদ তৈরির কাঁচামাল) গায়েবের ঘটনায় গোডাউন সিলগালা করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।

বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শিরিনা আক্তার সিলগালা করেন।
এছাড়া ঘটনা তদন্তের জন্য খুলনা বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আসলাম হোসেনকে তদন্ত কমিটির প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

বিজ্ঞাপন
ডিস্টিলারি বিভাগে বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর হোসেন লিখিত জানান, দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় ডিএস (ডিনেচার স্পিরিট) ৩ নম্বর ভ্যাট গোডাউনের গভীরতা পান ১০৯ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুত ৩৫ হাজার ৫০০ বা ১২ দশমিক ২৩ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুত দেখানো হয় ৩৯ হাজার ৭০০ লিটার। ৭ নম্বর ভ্যাট গোডাউনে সরেজমিনে গভীরতা ৫৩ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুত ৪ হাজার ৮০০ বা ৪ দশমিক ৩০ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুত দেখানো হয় ১৩ হাজার ৭০০ লিটার। এছাড়া ১০ নম্বর ভ্যাটে ৪ ইঞ্চি গভীরতার স্পিরিট কম। রেকর্ড অনুযায়ী ও সরেজমিনে মালামালের পরিমাণ গরমিল হওয়ার কারণে দায়িত্ব গ্রহণ ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি।
~2_20240628_083942433.jpg)
দর্শনা ডিষ্টিলারি বিভাগের পরিদর্শক সানোয়ার হোসেন জানান, এ ব্যাপারে ডিস্টিলারি বিভাগে বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর হোসেন দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় গরমিল হওয়ার কারণে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন না মর্মে গত ২ মে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকে লিখিত জানান। তারই প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন হয় ও ডিনেচার স্প্রিরিট গোডাউন সিলগালা করা হয়। বর্তমানে ডিনেচার স্প্রিরিট গোডাউনটি সিলগালা অবস্থায় আছে। তদন্তের প্রয়োজনে সেটি খোলা হবে।
প্রতিনিধি/এসএস

