নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে স্কুলছাত্রীকে ছুরিকাঘাতে আহত করার ঘটনায় অভিযুক্ত উত্তম বিশ্বাসকে (২১) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে সুনামগঞ্জের দিরাই থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: গাজীপুরে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, গ্রেফতার ২
এর আগে গত রোববার ভোরে উপজেলার সুয়াইর ইউনিয়নের ভাটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. লুৎফর রহমান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার উত্তম বিশ্বাস উপজেলার ভাটিয়া গ্রামের নিরঞ্জন চন্দ্র দাসের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
অপরদিকে ১৫ বছর বয়সী ওই ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা দরিদ্র জেলে। তিনি মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন।
আরও পড়ুন: পলাশবাড়ীতে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক গ্রেফতার
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া-আসার সময় প্রায়ই উত্যক্ত করতো প্রতিবেশী উত্তম। গত রোববার ভোরে ওই ছাত্রীর বাবা-মা বাড়ির পাশে হাওরে জাল দিয়ে মাছ ধরতে যায়। সেই সুযোগে উত্তম ঘরে ঢুকে ওই ছাত্রীর গলায় ছুরি ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ওই সময় বাধা দেওয়ায় উত্তম ছুরি দিয়ে ওই ছাত্রীকে প্রথমে গলায় আঘাত করে, পরে ঠোঁটে ফের ছুরিকাঘাত করে। ধস্তাধস্তি শুরু হলে ওই ছাত্রীর ছোট দুই বোন ঘুম থেকে জেগে চিৎকার দেয়। চিৎকার শুনে তার বাবা-মা হাওর থেকে দৌড়ে আসে। ততক্ষণে ছুরি ফেলে পালিয়ে যায় উত্তম। পরে দ্রুত উদ্ধার করে ওই ছাত্রীকে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় সোমবার ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ডভুক্ত করে পুলিশ। তবে ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় উত্তম।
ঘটনার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে আসামি গ্রেফতারে তৎপর হয় পুলিশ।
পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ (পিপিএম) আসামি গ্রেফতারের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বারহাট্টা সার্কেল) সুমন কুমার দাসের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করে দেন।
শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে সুনামগঞ্জের দিরাই থেকে উত্তম বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. লুৎফর রহমান বলেন, এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
প্রতিনিধি/ এমইউ