বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ: বিয়ে না করায় বিষপান

জেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২৪, ০৭:২১ এএম

শেয়ার করুন:

loading/img

লক্ষ্মীপুরে রিকশাচালক বাবাকে মারধর করে তার সামনে থেকে কিশোরী মেয়েকে তুলে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে অন্তর নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।

বিষয়টি জানাজানির পর কিশোরীকে বিয়ে না করার অস্বীকৃতি জানিয়েছে অভিযুক্ত যুবক। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোরী বিষপান করে আত্মাহত্যার চেষ্টা করে।


বিজ্ঞাপন


বর্তমানে কিশোরী নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়াই করছে।

রোববার (২৪ জুন) রাত ১০টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে কিশোরীকে অজ্ঞান অবস্থায় রেখে বাড়িতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার অসহায় রিকশাচালক বাবা।

আরও পড়ুন

বিবাহিত ছেলের সঙ্গে শিক্ষার্থীর পরকীয়া, নিষেধ করায় আত্মহত্যা

এর আগে, শুক্রবার ও শনিবার সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের (৪ নম্বর ওয়ার্ড) কুমিদপুর গ্রামের কোমর আলী ব্যাপারী বাড়ি প্রকাশ কালা নূরের বাড়িতে এ ঘর থেকে তুলে নেওয়া ও বিষপানের ঘটনা ঘটে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কিশোরীর বাবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে ঢাকা মেইলকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার প্রতিবেশী জিয়ার ছেলে অন্তরের সঙ্গে কিশোরী মেয়ের কথাবার্তা হয়। একপর্যায়ে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে দু’জন। বিষয়টি জেনে শুক্রবার সন্ধ্যা মেয়েকে সতর্ক করেন তার বাবা। এ ঘটনা শুনে অন্তর ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোরীর বাবাকে মারধর করে ঘর থেকে কিশোরীকে নিয়ে বের হয়ে যান। বাড়ি থেকে নির্জন একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। সকালে অন্তর তার প্রেমিকাকে বাড়িতে দিয়ে যান। বিষয়টি পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে কিশোরী তার প্রেমিক অন্তরকে চাপপ্রয়োগ করে বিয়ে করার জন্য। তখন অন্তর সাফ না করে দেয় তার দ্বারা বিয়ে করা সম্ভব নয়। তখন কিশোরী আত্মাহত্যার পথ বেছে নেয় ।


বিজ্ঞাপন


স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় কিশোরীকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার শেষে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রেফার করে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন তার মেয়ের জ্ঞান এখন পর্যন্ত ফিরে আসেনি। তিনি এ ঘটনায় সঠিক বিচারের দাবি করছেন।

আরও পড়ুন

স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সঙ্গে ঘুরতে দেখে স্বামীর আত্মহত্যা

বিষয়টি জানতে অভিযুক্ত অন্তর ও তার পরিবারের কাউকে বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি। তাই তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ ঢাকা মেইলকে বলেন, বিষয়টি তাদের জানা নেই। তবে বিস্তারিত জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন


News Hub