মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় কুষ্টিয়ায় গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মমতাজ বেগম নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করে তারই ছেলে মুন্নাবাবু। এই হত্যা মামলায় ছেলে মুন্নাবাবুসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (৫ জুন) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমিন আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: যশোরে নারী সহকর্মীকে হত্যার দায়ে শামীম হোসেনের মৃত্যুদণ্ড
পরে তাদেরকে কড়া পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে নেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন - মিরপুর থানার কাঠদহ’র চর গ্রামের মৃত ফজল বিশ্বাসের ছেলে মুন্না বাবু, ইয়াছিন আলির ছেলে রাব্বী আলামিন এবং ইনছার বিশ্বাসের ছেলে আব্দুর কাদের। এর মধ্যে আব্দুর কাদের মুন্না বাবুর আপন চাচা।
কুষ্টিয়া জজ আদালতের কৌসুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার এজাহার এবং আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি বিকেলে মিরপুর উপজেলার কাঠদহ’র চর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন মমতাজ বেগম নামের এক গৃহবধূ। এই ঘটনায় মমতাজের ভাই অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে গোয়েন্দা পুলিশ সন্দেহ করে মমতাজের ছেলে মুন্নাবাবুকে আটক করেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মুন্না জানায়, মাদক সেবনে বাধা দেওয়া চাচা আব্দুল কাদেরের পরামর্শ এবং সহযোগিতায় সে মাকে হত্যা করে একটি বস্তায় ভরে পাশের একটি পুকুরের কাদার মধ্যে পুঁতে রাখে। মুন্নার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সেই পুকুর থেকে মমতাজের লাশ উদ্ধার করে।
এই হত্যাকাণ্ডে তাদের দায় স্বীকার করে দন্ডপ্রাপ্ত মুন্না এবং রাব্বী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়।
পরে দীর্ঘ শুনানি এবং সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন।
প্রতিনিধি/ এমইউ