ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের ছইজদ্দিন মোল্লা ডাঙ্গী গ্রামের হারুন সরদার (৪৬) তিন বছর ধরে লালনপালন করেছেন ‘সুলতান রাজা’ নামের ষাঁড় গরুটিকে।
এবারের ঈদে ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টিকে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান হারুন সরদার।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, ‘সুলতান রাজা’ প্রতিদিন খড় ও ভুষিসহ মোট ১৬ কেজি খাবার খায়। বর্তমানে এর বয়স তিন বছরের একটু কম। এবার কোরবানির ঈদে ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করার আশা সুলতান রাজাকে। গরুর হাটসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমেও প্রচার হয়ে আসছে সুলতান রাজার কথা।
ষাঁড়টির খাদ্য তালিকায় রয়েছে কাঁচা ঘাস, খড়, গমের ভুসি, চালের কুঁড়া, ভুট্টা, ডালের গুঁড়া ও ছোলা। সব মিলিয়ে দিনে প্রায় ২০ কেজি খাবার খায় গরুটি।
গরুর পরিচর্যাকারী শিউলি আক্তার বলেন, অনেক আদর করে ছেলের মতন সুলতান রাজাকে লালনপালন করা হয়েছে। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত আমি সুলতানকে দেখাশোনা করি।
গরুটির মালিক কৃষক হারুন সরদার বলেন, আমি গরুর খামারি না। কিন্ত এর আগে অনেক গরু পালন করেছি। তেমনই তিন বছর আগে শখ করে পোষা শুরু করে এ গরুটি। যখন জানতে পারি এটি বড় জাতের গরু, তখন সে নিয়ত করি তা বড় করে বিক্রি করবো।
তিনি বলেন, আমি গরুটিকে মোটাতাজাকরণের জন্য কোনো প্রকাশ ওষুধ ও ফিড খাওয়াইনি। প্রাকৃতিকভাবেই দিন দিন গরুটির ওজন বেড়ে ১ হাজার ২০০ কেজিতে এসে দাঁড়ায়। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের সহযোগিতা ছাড়াই এটি লালনপালন করেছি। ডিজিটাল স্কেলের মাধ্যমে গরুটির ওজন নিশ্চিত হওয়া গেছে। আমি গরুকে ঘাস, খড় ও ভুসি, কুড়া খাওয়াই। আর আশা এবার কোরবানির ঈদে 'সুলতান রাজাকে' ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করব।
আরও পড়ুন
সদরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ কে এম আসজাদ বলেন, সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে সুলতান রাজা নামে ষাঁড়টি লালনপালন করেছেন মালিক। কোনো সৌখিন ক্রেতা ষাঁড়টি উপযুক্ত দাম দিয়ে কিনলে মালিক উৎসাহিত হবেন।
তিনি বলেন, আবার এই উপজেলায় ৯০৭টি খামারে ছোট বড় মাঝারি আকারের হলেস্টাইন ফ্রিজিয়াম, জার্সি, ব্রাউই সুইট, নওরেজিয়ান রেড, লাল, ব্রাহামা এবং সাদা হলেস্টাইন ও দেশীসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ২ হাজার ৪৩০টি ষাড়, ১৩৫টি গাভী, ১০ হাজার ৮৬০টি ছাগল ও ১৫টি ভেড়াসহ মোট ১৩ হাজার ৪৪০টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করেও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হবে।
প্রতিনিধি/এসএস

