সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

গ্রাম পুলিশকে পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান

জেলা প্রতিনিধি, জামালপুর
প্রকাশিত: ০২ জুন ২০২৪, ১২:৪২ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

জামালপুরের বকশীগঞ্জে গ্রাম পুলিশকে পিটিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত মশিউর রহমান লাকপতি বকশীগঞ্জের সীমান্তবর্তী ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।


বিজ্ঞাপন


বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউপি কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় শনিবার (১ জুন) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গ্রাম পুলিশ নুরুন্নবী।

আরও পড়ুন

বগুড়ায় আবাসিক হোটেলে মা-ছেলেকে হত্যা

ভুক্তভোগী গ্রাম পুলিশ নুরুন্নবী ধানুয়া এলাকার মৃত শাহ আলমের ছেলে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি।


বিজ্ঞাপন


জানা যায়, প্রতি বৃহস্পতিবার উপজেলার সকল ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশরা থানায় হাজিরা দেন। কিন্তু সেদিন পরিষদে কাজ থাকায় থানায় হাজিরা দিতে যেতে পারেননি নুরুন্নবী। চেয়ারম্যান লাখপতি পরিষদে আসতে দেরি করায় ইউপি সচিব আবদুল লতিফের কাছ থেকে থানার হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নিয়ে প্রতিবেদন আরেক গ্রাম পুলিশ সন্তোষ সাংমার মাধ্যমে থানায় পাঠিয়ে দেন নুরুন্নবী।

পরে বেলা ১২টার দিকে পরিষদে আসেন ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি। পরে থানার প্রতিবেদন খাতায় ইউপি সচিবের স্বাক্ষর নেওয়ার কারনে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশ নুরুন্নবীকে গালাগালি শুরু করেন। এক পর্যায়ে শার্টের কলার ধরে টানা হেচড়া ও মারপিট করে নুরুন্নবীকে পরিষদ থেকে বের করে দেন চেয়ারম্যান।

আরও পড়ুন

কর্মস্থলের সামনেই স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্বামী আটক

এ ঘটনায় গ্রাম পুলিশ নুরুন্নবী ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতির বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

গ্রাম পুলিশ নুরুন্নবী বলেন, পরিষদে কাজ থাকায় ও চেয়ারম্যান আসতে দেরি করায় থানার প্রতিবেদন খাতায় আমি সচিব স্যারের স্বাক্ষর নিয়ে আরেক গ্রাম পুলিশ সন্তোষ সাংমার মাধ্যমে থানায় পাঠিয়ে দেই, এটাই আমার অপরাধ। তাই চেয়ারম্যান আমাকে গালাগালি ও মারধর করে পরিষদ থেকে বের করে দিয়েছেন। এ কারণে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি বলেন, বৃহস্পতিবার গ্রাম পুলিশরা থানায় হাজিরা দেন। পরিষদে সরকারি কাজ থাকার কারণে ৩ জনকে পরিষদে থাকতে বলে সবাইকে থানায় যেতে বলি। কিন্তু আমি আসার আগেই নুরুন্নবী সচিবের কাছে স্বাক্ষর নিয়ে প্রতিবেদন থানায় পাঠিয়ে দেয়। আমি তাকে ডেকে এটাই জানতে চেয়েছি। তাকে মারধোর ও পরিষদ থেকে বের করে দেওয়ার কথা সঠিক নয়।

বকশীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান তিনি।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর