দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমান হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবচিহ্ন। ঘরবাড়ি ভেঙে বিধ্বস্ত অবস্থা। গাছপালা উপড়ে কোথাও কোথাও বন্ধ যোগাযোগব্যবস্থা। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা। জলোচ্ছ্বাসে ভাঙল বেড়িবাঁধ, প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে— ঘূর্ণিঝড় রেমাল প্রথম আঘাত হেনেছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়, রাত পৌণে ৯টায়। তথ্যমতে, রোববার বিকেল ৪টায় পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৫৪ কিলোমিটার, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ৬১ কিলোমিটার, রাত সাড়ে ৮টায় ৬৫ কিলোমিটার, রাত সাড়ে ১১টায় ৯১ কিলোমিটার এবং রাত দেড়টায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১১ কিলোমিটার।
বিজ্ঞাপন
এ সময় জেলার বেশকিছু এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। জানা গেছে, রোববার রাতে জেলায় জোয়ার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝড়ের তীব্রতা শুরু হয়। প্রবল বেগে বাতাসের সঙ্গে প্রবল বর্ষণ এখনো আছে। কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের জালালপুর, খ্রিষ্টানপল্লি, পশ্চিম হাজিপুর, নবীপুর, ফতেহপুরসহ পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গতকাল রাত ১২টার সময় জোয়ারে জালালপুর গ্রামসংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর থেকে পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এ কারণে এখানকার পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়।
কুয়াকাটা সৈকত এলাকা এখনো ছয়-সাত ফুট পানির নিচে তলিয়ে আছে। কুয়াকাটার নিকটবর্তী পশ্চিম খাজুরা এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটির বাইরের অংশ এবং সাগর মোহনার মহিপুর ইউনিয়নের নিজামপুর গ্রামসংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটিও জোয়ারের চাপে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্দিক মুন্সী বলেন, বাঁধের ঢালের ক্ষতি হয়েছে। আবার জোয়ারের চাপ বাড়লে বাঁধটি ছুটে যেতে পারে।
রোববার সন্ধ্যা থেকে কলাপাড়া উপজেলা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায়। এর ফলে জনজীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। পল্লী বিদ্যুতের কলাপাড়া কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক সজীব পাল বলেন, ‘ঝড়ে বিভিন্ন জায়গায় গাছপালা উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে, খুঁটি উপড়ে পড়েছে। এগুলো ঠিক না করে বিদ্যুৎ সঞ্চালনব্যবস্থা সচল করা যাচ্ছে না।’
বিজ্ঞাপন
এইউ