বঙ্গোপসাগর থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’এর প্রভাবে লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় জনপদে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ভেঙে গেছে কয়েকশ কাঁচা ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। উপড়ে পড়ছে অসংখ্য গাছপালা। মেঘনা নদীর অবস্থা উত্তাল। এ ছাড়া রাতজুড়ে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৭ মে) সকাল ৯টার দিকে কমলনগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অনেকগুলো ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে হয়েছে। প্রচুর গাছ ভেঙে দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, চর কালকিনি গ্রামের জেলে আমির হোসেনের নতুন বসতঘরটি ঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙে গেছে। একই গ্রামের নিজাম হোসেনের বসতঘরের মাটি জোয়ারের পানিতে ধুয়ে গেছে। জেলে রুবেল হোসেনের ঘরের শুধু খুঁটিগুলি আছে। আর সবকিছু বাতাসে তছনছ করে নিয়ে গেছে। সিরাজ নামে আরেক জেলের ঘর উড়ে গেছে। নূর আলমের ঘরের শুধু চাল আছে। এভাবেই উপকূলীয় মানুষের মনে চরমভাবে আঘাত দিয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল।
জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান ঢাকা মেইলকে বলেন, ঘরবাড়ি ভাঙা ও গাছপালা উপড়ে পড়ার বিষয়টি তার জানা নেই। তবে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করছেন।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য: লক্ষ্মীপুরে ১৮৯টি স্থায়ী ও অস্থায়ী সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়কালীন মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে ৬৪টি মেডিকেল টিম গঠন কাজ করছে।
প্রতিনিধি/টিবি