যশোরের শার্শা উপজেলার কন্যাদাহ গ্রামে প্রেমঘটিত কারণে সাইফুল ইসলাম মুকুল (৪০) নামে একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এছাড়াও এ ঘটনায় নিহতের ভাই শরিফুল ইসলাম বকুল (৩৫) আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে ।
গ্রেফতাররা হলেন- ইউনুস আলীর ছেলে হাসান মেম্বার (৩৫), মৃত করিম বক্সের ছেলে তাজ উদ্দিন (৪৫) ও আতিয়ার রহমানের ছেলে কামরুজ্জামান (৩৭)।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, বুধবার (২২ মে) রাত ১০টার দিকে শার্শা উপজেলার ৬ নম্বর উলাশী ইউনিয়নের কন্যাদাহ গ্রামের মৃত আজিজের ছেলে সাইফুল ইসলাম মুকুল ও তার ভাই শরিফুল ইসলাম বকুলকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাইফুল ইসলাম মুকুল মারা যান। তার পরিবারের পক্ষ থেকে শার্শা থানায় একটি মামলা করা হলে স্থানীয় হাসান মেম্বারসহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় এক মেয়ের সঙ্গে আনিসুর রহমানের ছেলে নয়ন হোসেনের (১৮) প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এ রকম একটি ঘটনা জানতে পেরে হাসান মেম্বারসহ ১০-১২ জন লোক নয়নের মামাতো ভাই সাইফুল ইসলাম মুকুলের বাড়িতে নয়নকে খুঁজতে যান। এ সময় তাকে না পেয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে মুকুল ও বকুলকে ১০-১২ জন মিলে মারপিট করে মারাত্মকভাবে আহত করে ফেলে রাখে। পরে লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহত সাইফুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে সাইফুল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে মৃত্যুবরণ করেন।
এ বিষয়ে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান জানান, নিহতের ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্যের এক আত্মীয়ের প্রেমঘটিতসহ শত্রুতার জেরে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউপি সদস্য হাসানসহ তিন জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এমএইচএম