গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় মালচিং পদ্ধতিতে মাচায় আবাদ করা হয়েছে তরমুজ। এর সুফল পাওয়ায় এই তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এখানকার কৃষকরা। একইসাথে লাভবান হচ্ছেন তারা।
সম্প্রতি উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রাম এলাকায় দেখা গেছে এই তরমুজ আবাদের চিত্র। এখানে প্রায় ৭০ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: জোরপূর্বক ধান কাটতে সঙ্গে আনা হয় অ্যাম্বুলেন্স-ডাক্তার
স্থানীয় কৃষকরা জানান, পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট জেলায় তরমুজ চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিন বছর পূর্বে গোবিন্দগঞ্জে তরমুজ চাষ শুরু করেন। প্রথমে কম চাষ করলেও এখন লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই সম্প্রসারণ ঘটছে তরমুজ চাষ। বছরে পর্যায়ক্রমে তিনবার ফলন পাওয়া যায়। এ কারণে তরমুজ চাষে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা।
আব্দুর রহমান নামের এক কৃষক বলেন, এবার এক একর জমিতে তরমুজ চাষে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হলেও তরমুজ বিক্রি হয় প্রায় ৩ লাখ টাকার।
তিনি বলেন, এই এলাকার কৃষকরা মাটিতে বেড তৈরি করে মালচিং পেপার বিছিয়ে মাচা পদ্ধতিতে ধাপে ধাপে তরমুজ চাষ করছে। বরেন্দ্র অঞ্চল খ্যাত লাল মাটিতে তরমুজ আবাদে সফলতা পাওয়ায় খুশি কৃষকরা।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় প্রজাপতি ধানে বাজিমাত
কামদিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত ইসলাম বেনজির জানান, অন্য আবাদের চেয়ে লাভজনক হওয়ায় দিন দিন তরমুজ চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মেহেদী হাসান বলেন, তরমুজ চাষীদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি চাষীদের উৎপাদিত তরমুজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা হচ্ছে।
প্রতিনিধি/ এমইউ

