কৃষক কুদ্দুস মিয়া। চলতি বোরো মৌসুমে ১২ বিঘা জমিতে আবাদ করেছেন ধান। এদিকে ওই ধান জোরপূর্বক কেটে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন প্রতিপক্ষ মোস্তাফিজুর রহমানেরা। ঠিক যেমন পরিকল্পনা তেমন কাজ। তারা ট্রাকযোগে একদল ভাড়াটিয়া লোক এনে লাঠিসোঁটাসহ ওই জমিতে যান। শুধু তাই নয়, মারামারি হবে জেনে আগেই সঙ্গে নিয়ে আসা হয় অ্যাম্বুলেন্স ও ডাক্তার। অবশেষে তাদের এই পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (৬ মে) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের সরকারি দিঘীরপার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: নড়াইলে ডাকাতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
স্থানীয় সূত্রে জানা জায়, দীর্ঘ দিন ধরে ওই গ্রামের বসরত উল্লাহর ছেলে কুদ্দুস মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী জলিল মিয়ার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান এবং সোনার মিয়ার জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছে। এরই মধ্যে কুদ্দুস মিয়ার ছেলেরা ১২ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। ক্ষেতের সেই ধান কাটার জন্য সোমবার দুপুরের দিকে প্রতিপক্ষ মোস্তাফিজুর ওই জমিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করেন।
তখন তিনি ধান কাটার জন্য গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে করে ভাড়াটে লোক নিয়ে আসেন। একইসাথে মারামারি হতে পারে এমন শঙ্কায় চিকিৎসার জন্য এনেছিলেন অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসক। প্রতিপক্ষের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের খবরে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই সময় কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়।
বিজ্ঞাপন
ভুক্তভোগী কুদ্দুস মিয়ার ছেলেরা বলেন, কাগজ-কলমে ওই জমির মালিক আমরা। এ নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে উভয় পক্ষের মামলা-মোকদ্দমা চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় আমাদের আবাদ করা ক্ষেতের ধান সন্ত্রাসী কায়দায় কাটার চেষ্টা করেন প্রতিপক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান।
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, জোরপূর্বক ধান কাটার খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ওই জমি সংক্রান্ত মামলার পলাতক পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিনিধি/ এমইউ

