এক নারীর প্রথম স্বামীর পুরুষাঙ্গ কাটার চেষ্টা করেছে তার দ্বিতীয় স্বামী। এ ঘটনায় প্রথম স্বামী নুমাজ আলীর পুরুষাঙ্গে মারাত্মক জখম সৃষ্টি হয়েছে। এখন তিনি মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার (২০ মে) দুপুরে এই বিষয়ে মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া থানায় অভিযোগ করেন সুমি বেগম নামের এক নারী।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: পলাশবাড়ীতে ভাতিজিকে গলা কেটে হত্যা করলেন চাচা
এ ঘটনায় আহত নুমাজ আলী মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার আটিগ্রাম এলাকার এছাক খানের ছেলে। তিনি গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তার স্ত্রী ও ছেলেদের নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন।
আহত নুমাজ আলী বলেন, গত শনিবার কাজ শেষে রাত আনুমানিক ১১টার দিকে গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার ব্রিজের পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। এ সময় পিছন থেকে এসে দু’জন আমার হাত ধরে এবং আমার স্ত্রীর সাবেক স্বামী সৈয়দ আলী আমার গোপন অঙ্গে ছুরি দিয়ে পোচ দেয়। এরপর আমাকে মারপিট করে তারা চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: শিশুর গলায় চাপাতি ধরে মাকে মারধর, স্বর্ণালংকার লুট
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও জানান, প্রায় ২২ বছর আগে ঢাকার ধামরাই উপজেলার চন্ডাইল গ্রামের মৃত রমজান আলীর মেয়ে সুমী বেগমের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। পরে আমাদের মধ্যে তালাক হলে সে সাটুরিয়া উপজেলার রাল্লা গ্রামের মৃত হানিফ ব্যাপারীর ছেলে সৈয়দ আলী ব্যাপারীকে বিয়ে করে। পরে আবার তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হলে আমার সঙ্গে সুমীর বিয়ে হয়।
সুমি বেগমও জানান, তার দ্বিতীয় স্বামী সৈয়দ আলী ব্যাপারীকে ছেড়ে আসায় তাকে সে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকি দিত। এছাড়া তার স্বামী নুমাজ আলীকে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দিতো।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, পুলিশ ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
প্রতিনিধি/ এমইউ