বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

যশোরে স্বামী-স্ত্রীকে বর্বরোচিত নির্যাতন

জেলা প্রতিনিধি, যশোর
প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২৪, ১১:২৪ এএম

শেয়ার করুন:

loading/img

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের গাবুখালী গ্রামের শওকত গাজীর ছেলে  ফারুক গাজী (৪৫) ও তার স্ত্রী সুমি বেগম (৩৪) গাবুখালী বাজারে ডাক্তার দেখাতে এসে বর্বরোচিত নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বর্তমানে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।


বিজ্ঞাপন


এ ঘটনায় আহত ফারুক গাজী পাঁচ জনকে আসামি করে মণিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

বরিশালে তিন যুবককে কুপিয়ে জখম

আসামি পাঁচজন হলেন- গাবুখালি গ্রামের মোহাম্মদ আলীর দুই ছেলে বজলুর রহমান (৫০), নজরুল ইসলাম (৫৫), এবং নজরুল ইসলামের ছেলে হিল্লাল গাজী (৩৫), ও রোস্তম গাজীর ছেলে  সাইফুল ইসলাম (৩২), আনছার আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম (৪০)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফারুক গাজীর সঙ্গে আসামিদের জমি জমার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল যা আদালতে বিচারধীন রয়েছে। গাবুখালী বাজারে  বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত ৮টার সময় ফারুক গাজী ও তার স্ত্রী ডাক্তার দেখাতে আসলে বজলুর রহমানের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ৫/৭ জন ফারুক গাজীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ফারুক গাজী মাথায় গুরুতর আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তার স্ত্রী সুমি বেগম স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাকেও বজলুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম তার পরনের কাপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং অমানুষিক নির্যাতন করে। বজলুর ইসলাম সুমি বেগমের মাথায় আঘাত করলে তিনিও মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় সুমি বেগমের জা পলি বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও বেধড়ক মারপিট করে। খুন করার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

সাংবাদিকের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা

এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শনিবার তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে ফারুক গাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজারে এত মানুষের মধ্যে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে নির্মম নির্যাতন করেছে। তারা খুবই ভয়ংকর। ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে না। তার মাথায় আটটি সেলাই লেগেছে।  স্ত্রীকে বারোটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। আসামিরা তাদেরকে বাঁচতে দেবে না।

তিনি আরও বলেন, আমি মনিরামপুর থানা পুলিশে অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশও কোনো আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

এ বিষয়ে মনিরামপুর থানার ওসি এবিএম মেহেদী মাসুদ জানান, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন