মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ঢাকা

সিল মারা ব্যালটসহ ইউপি চেয়ারম্যানের পোস্ট, সমালোচনার ঝড়!

জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড়
প্রকাশিত: ১০ মে ২০২৪, ০১:৫৫ পিএম

শেয়ার করুন:

সিল মারা ব্যালটসহ ইউপি চেয়ারম্যানের পোস্ট, সমালোচনার ঝড়!

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গোপন কক্ষে সিল মারা ব্যালটের সঙ্গে ছবি তুলেছেন আশরাফুল ইসলাম নামে এক ইউপি চেয়ারম্যান। সেই ছবি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্টসহ বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীর আইডির পোস্টসহ বিভিন্ন আইডিতে কমেন্ট করেছেন তিনি।

তবে তিনি আইডি থেকে পোস্টটি গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে সরিয়ে নেন।  


বিজ্ঞাপন


গত বুধবার (৮ মে) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের মাঝিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি৷

জানা গেছে, আশরাফুল ইসলাম তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, এছাড়াও তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য৷ 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম আচরণ বিধি অমান্য করে মোবাইল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এরপর ব্যালট পেপার নিয়ে ভোট দেওয়ার গোপন বুথে গিয়ে ব্যালটে সিল মেরে সেখানেই সিল মারা ব্যালটসহ ছবি (সেলফি) তুলেন তিনি। পরে বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট করেন। 

সেখানে দেখা যায়, তিনি সিল মারা ব্যালট এক হাতে ধরে আরেক হাতে সেলফিটি তুলেছেন এবং সেই ছবি আপলোড দিয়ে লিখেন ‘ভালোবাসা নেতার পিছনে যায় না, যায় ভালবাসার পিছনে।’


বিজ্ঞাপন


এর আগেও এই জনপ্রতিনিধি গত ৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করে সিল মারা ব্যালটের ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন।  

এ দিকে যদিও ভোট কেন্দ্রে গোপন বুথে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার ছবি তোলা বেআইনি ও কোন ভোটার মোবাইল ফোন নিয়ে ভোট কক্ষে প্রবেশ ও ব্যবহার করা যাবে না বলে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ভোট কেন্দ্র আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রিজাইটিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা থাকা অবস্থায় একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কিভাবে এমন আইন ভঙ্গ করে মোবাইল ফোন দিয়ে গিয়ে ছবি তুললনেন এ বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা দেখা দিয়েছে স্থানীয় মানুষেদের মাঝে।

একজন ভোটার কর্তৃক এরুপ কর্মকান্ড উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এবং উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর পরিপন্থি এবং শাস্তিযোগ্য একটি অপরাধ। 

এবিষয়ে শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আরও পড়ুন

মিরসরাইয়ে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ৬

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম হোসেন বলেন, ভোট কেন্দ্রে গোপন বুথে ভোট দেওয়ার ছবি তোলা যাবে না। তিনি যে কাজটি করেছেন সেটি বেআইনি। তিনি এ কাজটি করতে পারেন না। যেটা করেছেন সেটা আইন বহির্ভূত কাজ। বিষয়টি আমি দেখতেছি।

এদিকে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে রাব্বি জানান, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বশীল পদে থাকা অবস্থায় তিনি যে কাজটি করেছেন সেটি ঠিক নয়। বিষয়টি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দেখবেন। তবে, বিষয়টি আমাদের নজরে আসার সাথে সাথে আমি উপজেলা নির্বাচন ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন। 

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর