শাহিনুর বেগম (৪৫)। তার কোমরের হাড় ভেঙে গেছে দুর্ঘটনায়। তবুও নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে আসলেন ভোটকেন্দ্রে।
বুধবার (৮ মে) সকাল ১০টার দিকে কমলনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তোরাবগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দেখা যায় শাহিনুর বেগমকে।
বিজ্ঞাপন
তাকে ভোটকেন্দ্রের কক্ষ পর্যন্ত সহযোগিতা করেন মিরাজ নামে এক যুবক।
শাহিনুর বেগমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে তার স্বামী খোকন মারা গেছেন। কিছুদিন পর তাদের বসতবাড়ি মেঘনার নদীর গর্ভে তলিয়ে গেছে। তার দুই ছেলে দুই মেয়ে। বড় ছেলে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করছে। ৩ সন্তান নিয়ে বর্তমানে লক্ষ্মীপুর রামগতি সড়কের পাশে সরকারি জমিতে বসবাস করছে। দুঃখকষ্ট এখন তার নিত্যসঙ্গী। মাঝেমধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান বাপ্পি তাকে সাহায্য-সহযোগিতা করতেন। আজ বাপ্পির ভোট, তাই বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাঠিতে ভর করে বাপ্পিকে ভোট দিতে এসেছেন শাহিনুর বেগম।

লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, কমলনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।
বিজ্ঞাপন
তারা হলেন- উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম- আহ্বায়ক আহসান উল্লাহ হিরন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বাবুল মিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রহমান দিদার, চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ ও ভিপি নুরনবী। এছাড়া এ উপজেলায় ৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।
এদিকে রামগতি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোট যুদ্ধে লড়াই করছেন ৫ জন। তারা হলেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ, জামশেদা জাং চৌধুরী, রোকেয়া বেগম ও মাহবুবুর রহমান টিপু। এ উপজেলায় ১০ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, রামগতি ও কমলনগর মোট ভোটার সংখ্যা-৩ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৩জন। পুরুষ- ২ লাখ ২ হাজার ৬০ জন। নারী- ১লাখ ৮২ হাজার ৯১২জন। আজ ৮টা থেকে রামগতি কমলনগর ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস

