মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ঈদ ও নববর্ষের ছুটিতে হাতিয়ার বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় 

উপজেলা প্রতিনিধি, হাতিয়া (নোয়াখালী) 
প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম

শেয়ার করুন:

ঈদ ও নববর্ষের ছুটিতে হাতিয়ার বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় 

কর্মব্যস্ত জীবনে ঈদের ছুটি নিয়ে এসেছে অবকাশের ফুরসৎ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলা নববর্ষের ছুটি। এই দু’উৎসবের লম্বা ছুটি উপভোগ করতে সাধারণ মানুষ হাতিয়ার বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় করেছেন।

ঈদের দিন বিকেল থেকে রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেল পর্যন্ত নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সব কয়টি বিনোদনকেন্দ্র তথা সমুদ্র সৈকতগুলো ছিল লোকে লোকারণ্য। বিশেষ করে সূর্যমুখী সমুদ্র সৈকত, কমলার দীঘি সমুদ্র সৈকত, রহমত বাজার ঘাট, লালচর, নীম তলী, মুক্তাইরা ঘাট, চরচেঙ্গা ঘাট এবং নিঝুম দ্বীপের সমুদ্র সৈকতগুলোতে বেড়েছে মানুষের ভিড়।


বিজ্ঞাপন


কাঠফাটা রোদের তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে দুপুরের পর থেকেই মানুষ ছুটছেন এসব বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে। নিজেদের আনন্দের মুহূর্তটি ক্যামেরায় ধরে রাখতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। তাদের মধ্যে আবার কেউ কেউ সমুদ্রের পাড়ে বসে গান গেয়ে আনন্দে মেতে উঠেছেন।

আরও পড়ুন: নববর্ষে পঞ্চগড়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা 

এমন দৃশ্যগুলো দেখা গেছে হাতিয়ার সূর্যমুখী ও কমলার দীঘি সমুদ্র সৈকতে। যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সবুজের সমাহারে সজ্জিত ভূমি, ম্যানগ্রোভ বন, প্রাকৃতিক লেকের মন জুড়ানো নীল জলরাশি, সমুদ্রের ঢেউ আর সারি সারি হরেক রকমের গাছপালা দর্শনার্থীদের মন কেড়েছে। 

এদিকে ঈদের চতুর্থ দিনেও নানান বয়সী মানুষ দলবেঁধে নদীর তীরে ছুটে আসেন ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলা নববর্ষের উৎসব। সূর্যমুখী সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসা দিদার নামে এক দর্শনার্থী জানান, সূর্যমুখী সমুদ্র সৈকত দেখতে খুব ভালো লাগে, তাই ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে এখানে এসেছি। 


বিজ্ঞাপন


তাফসির নামের আরেক দর্শনার্থী জানান, হাতিয়ার যে কয়টি সমুদ্র সৈকত আছে তার মধ্যে সূর্যমুখী সমুদ্র সৈকতও একটি। ঈদ এবং বাংলা নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করতে আমরা সবাই সূর্যমুখী সমুদ্র সৈকতে এসেছি। তিনি আরও জানান, এখানকার সমুদ্রতীর আর বাগানের সৌন্দর্য আমাদের বেশি ভালো লাগে। 

আরও পড়ুন: চীনে বাংলাদেশিদের ঈদ পুনর্মিলনী

এছাড়াও কমলার দীঘি সমুদ্র সৈকতে আসা প্রিতম নামের এক কিশোর জানান, ঈদের উৎসবের সঙ্গে আজ আমাদের মাঝে বাংলা নববর্ষও হাজির হয়েছে। তাই দু’টি উৎসবের আনন্দ উপভোগে আমরা কমলার দীঘি সমুদ্র সৈকতে এসেছি। 

fff66

হাতিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুব মুর্শেদ লিটন জানান, দর্শনার্থীদের জন্য বিনোদনকেন্দ্রগুলো একেবারে ঝামেলামুক্ত এবং নিরাপদ। নির্বিঘ্নে দর্শনার্থীরা সমুদ্র সৈকতে ঘোরাফেরা করতে পারবে। এক্ষেত্রে আমাদের প্রশাসন পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে নজর রাখছে।

প্রতিনিধি/ এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর